পিপিলিকার সঞ্চয় থেকে- পর্ব-১ ( এক)
সময়টি শেষ করার সময়, সময়কে মূল্যবান করে তুলো যা আর ফিরে আসবে না, শুধু মাত্র সময়ের বিনিময়ে ফলাফলটুকুই হিসাবে জমা থাকবে।
আসলটার মধ্যে খুঁত থাকবে আর নকলটা নিখুঁত।
একই শব্দ আলোকিত হয়ে এবং অন্ধকারময় হয়ে প্রকাশ করা যায়। জীবনে কথার প্রয়োগ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ; সংযত, নম্র এবং সুচিন্তিত কথা সবচেয়ে মূল্যবান।
ভাবনার ধরণটা হওয়া উচিত যেমন একটি সুজ্জিত বাড়ি দেখে মনে হতেই পারে যদি এমন একটি বাড়ি নিজের থাকতো ! এতে আপসোসের সূচনা হতে পারে তবে চিন্তাটা অন্য ভাবে শুরু হলে ভালো হয় যেমন বাড়িটা ঐ মালিকের হওয়ার পিছনে তার কত ঋণ আছে, তার আয়ের ধরণ কি ! কত আগে থেকে ঐ রকম একটি সুজ্জিত বাড়ি করার কথা চিন্তা করছিল তা ছাড়া ঐ সুজ্জিত বাড়ি বাড়ি ছাড়া তার আর কি কি সম্পদ আছে !
ভবিষৎ বানী করতে অনেকেই ভালোবাসে হতে পারে এটি তার সখ; তবে সাধারণের ভবিষৎ বানী সঠিক হয় না; দৈব কারণে অনেক সময় সঠিক হয় আবার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কছুটা সঠিক হয়। তবে সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কারো সম্পর্কে অনুমান করা ঠিক নয় । বরং এতে জন্ম নেয় নানান ধরণে বিভ্রান্তি, অম্পষ্টতা, সৃষ্টি করে দূরুত্ব। অনুমানের চেয়ে সঠিক তথ্য-উপাত্তে মতমত সর্ব-উৎকৃষ্ট।
এটি ভাবা খুবই অর্থহীন তোমাকে নিয়ে, তোমরা উন্নতি-অবনীতি নিয়ে মানুষ খুব একটি বেশি ভাবে অনুসরণের চেষ্টা করে যত না তুমি ভাবো, আসলে প্রতিটি মানুষ নিজের সম্পর্কে বেশি ভাবে এবং নিজের বিষয়ে বেশি সময় দেয়।
সুতরাং মানুষ তোমাকে নিয়ে নেতিবাচক বা ইতিবাচক এটা সেটা ভাবতে পারে এই দুঃচিন্তায় নিজেকে নিঃক্রিয় করা পুরাটাই বোকামী; নিজের ক্ষতি ডেকে আনা।
চলতে গেলে সবাইকে অর্থনীতি বা নিজের আয় ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ, কৌশল জানতে হবে এবং কম বেশি সবাই এটি জানে। আমরা দৈন্দিন যত কথা বলি তার মধ্যে ” অর্থ বা টাকা” কথাটা বেশি ব্যবহার করি, দরিদ্র থেকে ধনী সকলে।
আয় যত কমই হোক একটি অংশ সঞ্চয়ের খাতায় থাকবে কম করে হলেও ১০ শতাংশ তবেই ঋণের কথা মাথায় আসবে না, ঋণের বেড়া জালে বন্দী হতে হবে না। সঞ্চয়ের অংশটুকু শুধু রেখে দিলেই হবে না বিনিয়োগে যেতে হবে লাভ বের করে আনতে হবে আর সেই লাভ খরচ বা ভোগ করা যাবে না, সঞ্চয় ও সঞ্চয়ের আয় থেকে যে একটি তহবিল হবে সেটাই এক সময় নির্দেশনা দিবে পরবর্ত্তিতে কী করণীয়! ততক্ষণে সে একজন জ্ঞানী বা ধনী ব্যাক্তি।।।
মানুষের মেধা বা শ্রম বিক্রি ওজনে, স্কেলে বা আয়োতনে নয় বিক্রিটা হয় ঘড়ির কাঁটার হিসাবে একদিনে ১৬ ঘন্টা শ্রম দিয়ে যদি ১০০ টাকা আয় হয় অপর দিকে ৭ ঘন্টা শ্রম দিয়ে যদি ৪৫ টাকা আয় করে সে ক্ষেত্রে ৪৫ টাকার আয় মূল্যমান বেশি। অনেক মানুষ (কারখানার শ্রমিক ছাড়া) হিসাবে আনে না যে আসলে সে কত ঘন্টা শ্রম বিলি করে করে মাসিক বেতন কত ! একমাসে তাকে কত ঘন্টা শ্রম দিতে হবে সেটি হিসাব করে না; মাসিক বেতনটায় সন্তষ্টি থাকলে শ্রম ঘন্টার কথা বিবেচনা করে না আর এখানেই সে একটি বৃত্তে বন্দী হয়ে যায় আর মুক্তি মেলে না। অবশেষে বেকারত্ব বা কর্মহীন অবসর জীবন।।।।
তারিখ:জানুয়ারী ১০, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,