হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার ও পাঠ্যপুস্তকে অনৈসলামিক বিষয়ের প্রবেশ ইসলামের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের জামিয়া মাদানিয়া শুলকবহর মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে হেফাজত আমির এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন রাব্বানীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ‘কিছু নামধারী মুসলিম আছেন, যাঁরা ইসলামকে কীভাবে দুনিয়া থেকে বিতাড়িত করা যায় সেই ষড়যন্ত্রে সর্বদা লিপ্ত। তাঁদের দিয়ে ইসলাম চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের শিকার। বর্তমান সময়ে এই সব নামধারী মুসলিমদের চিহ্নিত করতে, তাঁদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত হতে ও তাঁদের ষড়যন্ত্রগুলো বুঝে সেগুলো কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেই পদ্ধতি জানতে দ্বীনি মাহফিলসমূহ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইসলামের পক্ষে কথা বলায় আলেম-ওলামাদের জেলখানায় বন্দী করে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে হেফাজত আমির বলেন, যেসব ওলামায়ে কেরাম হক কথা বলতেন, দ্বীনের সহিহ কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন, সন্ত্রাসীদের যে শাস্তি দেওয়া হয় তার চেয়ে বর্বরোচিত শাস্তি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।
চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘আমরা নাকি একসময় বানর ছিলাম, সেখান থেকে মানুষ হয়েছি—এমন অযৌক্তিক, মিথ্যা কথাবার্তা সরকারি বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে, এমনকি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়ে আমাদের মুসলিম বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে।’
দেশের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশকে পুঁজি করে সরকার পশ্চিমাদের বোঝাতে চায়, এদের দমানো সম্ভব নয়। এদের দমাতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:জানুয়ারী ২০, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,