যথার্থ একটি লেখার জন্য চাই পাঠকের অনুপ্ররণা, লেখাটির সঠিক মূল্যায়নের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজন পাঠকের মতামত ও পাঠকের সংখ্যা। ইদানিং কালে ব্লগগুলি আমাদের একটি লেখার ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছেন।, ছাপার কালি- কাগজ ছাড়া একটি লেখা খুব দ্রুত পাঠকের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে পারছি। আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করার, নিজের অভিজ্ঞতা বণর্না করার আর যেগুলি গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা বা ছবি প্রকাশ করেই হোক।
আমাদের লেখার হাত বেশ পাকা হচ্ছে, পাঠকদের কাছ থেকে পাঠকদের আলোচনা, সমালোচনা বেশ দ্রুতই পাওয়া যাচ্ছে আর লেখার উৎসাহও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ধরা যাক ব্লগে লেখার বদৌলতে আমরা অনেকেই কয়েক বছর পরে লেখক হতে যাচ্ছি আর আমরা যারা কী-বোর্ডে লিখে অভ্যস্থ তাদের হাতের লেখার পান্ডলিপি কই !! আমরা অনেকেই নিজের হাতের লেখার পান্ডলিপি রাখতে পারি নি, এটা যুগের ধারা, গতকাল যা চল ছিল তা অনন্ত কাল ধরে চল থাকবে তা বলা যায় না। তবে মূল ধারাটি যেন সঠিক থাকে।
আমাদের পাঠকরা হয়তো কোন দিনই আমাদের হাতের লেখার পান্ডলিপি দেখবে না, পান্ডলিপিতে লেখার ধরণ, কাটা-ছেড়া কেমন ছিল তা কখনই জানবে না।
হাতের লেখার পান্ডলিপি থাক বা না থাক লেখার মান উন্নত হওয়াটাই বড় কথা। যেখানে অসংখ্য পাঠক থাকবে, থাকবে লেখকের অসংখ্য ভক্ত। নিদৃষ্ট ছক করে যেমন লেখা যায় না তেমন নানান কৌশল করে পাঠক বাড়ানো যায় না। লেখা যেন শরৎ কালের নীল আকাশে এক খন্ড মেঘ, নিজের ইচ্ছা মত এক এক সময়ে এক এক রূপ, আকার ধারন করে সারা আকাশে ঘুরে বেড়ানো। সকলে দৃষ্টি গোচরে আসা।
আমরা সহজে একজন লেখক হতে চাইলে খুব সহজে লেখক হওয়ার কথা নয়। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বহু লম্বা পথের অথবা, শরৎ কালের জন্য এক খন্ড সাদা মেঘ হওয়ার জন্য। বা বর্ষা কালের জন্য সাদা-কালো মেঘ হওয়ার জন্য।
মেঘ যদি লেখক হয়, তবে সারা আকাশ হচ্ছে পাঠক। বিশাল আকাশের মাঝে মেঘ যেমন ভাসে, বিশাল পাঠক সাগরে তেমন ভেসে বেড়ায় লেখক।
লেখার তারিখ – ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,