একটি ব্লগে বা পোষ্ট লেখার জন্য যত খানি সময় বরাদ্দ করি, তার থেকে বেশি সময় বরাদ্দ রাখা উচিত অন্যের পোষ্টে মন্তব্য দেওয়ার জন্য – এর মূল উদ্দোশ্য হলো অন্য ব্লগ লেখককে নিজের পাঠক বানিয়ে নিজের লেখা পোষ্টটি পাঠককে পড়ানো। যত পাঠক, যত মতামত, সমালোচনা, আলোচনা তত সার্থক লেখা বা পোষ্ট।
আমার লেখা যদি ব্লগ সন্মানিত পাঠক গন না পড়েন, মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা না করেন তবে পোষ্ট লেখার তেমন অর্থ আছে বলে কাছে মনে হয় না।
আমার প্রতি দিনের ভাবনা, অভিজ্ঞতাগুলি কিছুটা সাহিত্যের ধারায় লিখে যদি বই আকারে প্রকাশ করি তখন কথা ভিন্ন, যে ক্ষেত্রে আমি নিজেই আমার লেখার একজন আত্ম-বিশ্বাসী পাঠক ও যতার্থ আলোচকও বটে। তখন বুঝার ক্ষমতা অর্জন হবে যে প্রকাশিত বইটির পাঠক থাকবে কিনা !! সে ক্ষেত্রে ব্লগ নবীন লেখকদের একটি মুক্ত বিচরণ ভূমি, এখানেও সময়ের সৎ ব্যবহারের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে।
ব্লগের পোষ্টগুলিতে আরও আলোচনা হওয়া উচিত প্রয়োজন পর্যাপ্ত মন্তব্যের, এতে করে লেখার আগ্রহ ও দক্ষতা দুই বাড়ে। পোষ্টগুলিতে আলোচনা না হওয়ার কারণ হলো, পোষ্টে মন্তব্য না দেওয়ার প্রবনতা, সময়ের একটি প্রশ্ন তুলেন অনেকে তবে যতার্থ লেখা লিখতে চাইলে আমরা যারা নবীন লেখক উচিত যে কোন কৌশলে নিজের পোষ্টে পাঠক ও মন্তব্য বাড়ানো । সচল ব্লগের মূল কথাই হলো ব্লগে পর্যাপ্ত মন্তব্য ও আলোচনা। প্রিয় ব্লগ লেখকের প্রয়োজন তার পোষ্টে পর্যাপ্ত মন্তব্য ও আলোচনা পাওয়া বা অর্জন।
কেন লেখায় গঠন মূলক মন্তব্য করার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি ধরতে ব্যর্থ হন অনেক ব্লগার, অথবা স্বেচ্ছায় এড়িয়ে যান, অথচ অন্যের ব্লগ পড়া মতামত দেয়া ব্লগীয় ইন্টার এ্যাকশনের জন্য খুবই জরুরি ।আপনি, আমি, আমরা যত ভালো লেখকই হই না কেন, সহব্লগারের সঙ্গে আপনার ইন্টার এ্যাকশন না থাকলে, মন্তব্য খড়াতে ভুগবে আপনার পোস্ট– এটাই ব্লগে চির সত্য ।
ব্লগগুলির তারূণ্য বা রমরমা কালে এই ব্যাপারটি ছিল একে অপরের মধ্যে প্রচুর ইন্টার এ্যাকশন হতো । ধীরে ধীরে প্রথম প্রজন্মের ব্লগাররা হারিয়ে যান, ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় । পরের প্রজন্মরা আর নিজেদের মধ্যে সেই ইন্টারএ্যাকশন গড়ে তুলতে পারেন না । বা পারলেও খুব কম ।
একটি পোষ্ট লেখা হয় তো কঠিন বা সহজ তার থেকে বড় কঠিন কাজ হচ্ছে নিজের পোষ্টটিতে প্রচুর পাঠক সমাবেশ ঘটানো আর যেখানে পাওয়া যায় পোষ্ট কেন্দ্রীক আেলোচনা বা মন্তব্য। একটি পোষ্টে অধিক মন্তব্যের সমাবেশ ঘটলে এটা সব সময় প্রমান করে না যে সেখানে ব্লগের জনপ্রিয় সন্মানিত ব্লগারগন অংশ গ্রহন করেছেন, মূল্যবান কথা শেয়ার করেছেন বা আলোচনা ও জ্ঞান-গর্ভ কথায় মন্তব্য কলাম সমৃদ্ধ করেছেন।
একটি পোষ্টে ব্লগের জনপ্রিয় সন্মানিত ব্লগারগনকে অংশ গ্রহন করানোটাই একজন ব্লগারের একটি বড় সফলতা, এটা মেনে নেওয়ার কথা যে ব্লগে সবাই মান সন্মত ব্লগ পোষ্ট লেখার যোগ্যতা রাখে না, বা সবাই জনপ্রিয় ও সার্বজনীনও হয়ে উঠেন না।
প্রতি দিনের ভাবনা, অভিজ্ঞতাগুলি কিছুটা সাহিত্যের ছোঁয়ায় ব্লগে লিখে পাঠকের কাছে শেয়ার করার অর্থ হলো প্রতিটি দিনকে স্বীকৃতি দেওয়া, প্রিয় পাঠকের কাছে তা পৌঁছিয়ে দেওয়া।
রেটিং করুনঃ ,
পাঠক তৈরী করা বিশেষ করে এখন খুব কঠিন কাজ কখনও কখনও মনে হয় এখন পাঠকের চেয়ে লেখকের সংখ্যা বেশি।
পাঠক তৈরী করার ক্ষেত্রে মন্তব্য গঠনমূলক হওয়াটা উচিত, সেইসাথে গঠনমূলক সমালোচনাকে হজম করার মানসিকতা থাকাটাও জরুরি। যেকোন পোস্ট লেখকের নামে যাতে মান নির্ধারিত না হয় সেটা বুঝা পাঠকের জরুরি। সেই সাথে অনেকে আবার নিজের লেখার সমালোচনা শুনে তেতে উঠেন এমনকি পাঠকের পাঠক সত্ত্বাকেও প্রশবিদ্ধ করে ফেলেন।
আপনার কথাগুলির সাথে খুবই একমত ও এককথায় গঠন মূলক ও বাস্তব।
আপনাদের তো লেখকই নেই। যদিও পোস্ট এলে মন্তব্য আসে কিছু, কিন্তু পোষ্ট এতো লম যে ব্লগটি মাঝে মাঝে ঝিম মেরে থাকে।
লেখালিখিতে লেখক কম স্বীকার করি, কোন কিছু শুরুর প্রথমটা অনেক কঠিন তবে লেখালিখি তার সকল বাধা পেরিয়ে খুব দ্রুতই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে, এখন শুধু প্রয়োজন আপনাদের সহযোগীতা আর কিছু সময় দেওয়া।
গঠন মূলক ও সত্য মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের লেখকের খুজে বেরুতে হবে মনে হচ্ছে। পোষ্ট আসে না তাই পাঠক আসে না, পাঠক আসে না তাই লেখক আসে না। ব্লগেতো পাঠকই লেখক, লেখকই পাঠক।
এই দিন দিন নয়
আরও দিন আছে…..
” এই দিন দিন নয়
আরও দিন আছে”
লিখালিখিতে সামনের দিনগুলি অবশ্যই আলো ঝলমল করা সেই সাথে সবাই হবেন আলোকিত। আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আপনাদের এই সব লেখা পড়ে এখানে অনেক পাঠক তৈরী হবেই, সেই সাথে বসবে লেখকের মিলন মেলা। লিখে যান নিয়মিত।
আপনার মত একজন পর-উপকারী মানুষ আমি মনে মনে খুজছিলাম এতো দিন পরে পেয়ে গেলাম। আমাদের সাথেই থাকিয়েন হুট করে আবার বায়ু হইয়েন না।