আমার লেখার পাঠক কই !
নানান ব্যস্ততার কারণে এখন পাঠক সংকট যদিও বইয়ের কাঠামো একই, কিন্তু দিনে দিনে প্রযুক্তির কল্যানে বইয়েরও ধরণ পাল্টিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠকের চাহিদা ভিন্ন মাত্রা ধরে এগিয়ে চলেছে, সেই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলাতে পারলে বর্তমানের পাঠক মিলতে পারে।
প্রথমতঃ কিছু জানতে, জ্ঞানার্জনের জন্য প্রথমে পাঠক হতে হয়, সুতারাং এখন পাঠক সংকট কথাটি খুব যুক্তি সংঙ্গত নয় বরং পূর্বের তুলনায় এখন শীক্ষার্থীরা বেশি পরিমানে জ্ঞানার্জন করছেন। এক সময় পাঠক বলতে কবিতা, গল্প, উপন্যাসের, প্রবন্ধের পাঠক বুঝাত কিন্তু এখন নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানের প্রতি, ব্যবসায়, শিল্পের প্রতি আগ্রহ বেশী বলে সাহিত্য মঞ্চের পাঠকের তুলনা মূলক সূচক নিন্ম মূখি আর সেই জায়গাগুলি দখল করে নিচ্ছে বর্তমানের ও আগামীর প্রযুক্তির ধারা।
জ্ঞানার্জনের ও মানবিক বিকাশের যে ভিত্তি সাহিত্য ও দর্শণ তার অবদান কখনই কমার কথা নয়, বর্তমানের ও আগামীর গুরুত্বে যত কাল দখলে যাক না কেন ! অতীত তার অবদান গুরুত্ব নিয়ে আমাদের মিশে থাকবে বর্তমানের ও আগামীর সম গুরুত্বে।
আমাদের বর্তমান ধারায় যে লেখা সেখানে যদি জ্ঞানার্জনের ও মানবিক বিকাশের মসল্লা না থাকে তবে সে লেখায় পাঠক ভীড় জমাবেন কি করে ! কেমন করে খুব গর্ব করে বলব আমার লেখায় পাঠক ভীড় করেছে পাঠকের পর পাঠক !
লেখার তারিখ – ২ জানুয়ারি ২০১৬
রেটিং করুনঃ ,