বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, ৭ শতাংশ কর পরিশোধের মাধ্যমে পাচার করা টাকা ফেরত আনার প্রস্তাব অনৈতিক ও বেআইনি। মুদ্রা পাচারকারী দেশদ্রোহীদের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। অর্থমন্ত্রীকে এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে।
রাজধানীর এফডিসিতে আজ শনিবার ‘শ্রীলঙ্কার সংকট উত্তরণে করণীয়’ নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা কেউ দেশে ফিরিয়ে আনতে চাইলে ৭ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করতে পারবেন। এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কোনো কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা অব্যাহত থাকবে। এ সুবিধা বেআইনি ও অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিত্তবান, ব্যবসায়ী, মুনাফাভোগী ও অর্থ পাচারকারীদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কিছু রাখা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান বিবেচনায় তাঁদের প্রতি আরও সদয় হতে হবে। রেমিট্যান্সের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সুযোগে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা উপকৃত হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশে হবে না উল্লেখ করে সাবেক গভর্নর বলেন, দেশটি এমন সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেখান থেকে মুনাফা আসছে না। তা ছাড়া ওই দেশে মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল সুবিধাভোগীদের পকেট ভারী করার জন্য। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়নি, যেখান থেকে মুনাফা হবে না।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুন ১২, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,