লেখক: কৃষ্ণ চন্দ্র দাস সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় এবার অন্যবারের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সীতাকুণ্ডের ঝরনাগুলোয় এবার পানি অনেকটাই কম। কিছু ঝরনা আছে, শুকনো মৌসুমে যেগুলো শুকিয়ে যায়। তবে পৌর সদরের পন্থিছিলা এলাকার ঝরঝরি ঝরনায় সারা বছর পানি থাকে। চারদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কমতি না থাকায় সব ঋতুতেই পর্যটকদের কাছে টানে ঝরনাটি।
ঝরঝরি ঝরনার অবস্থান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের ভেতরে। পাহাড়ি একটি টিলা পার হয়ে ছড়া ধরে এগোতে থাকলে ঘণ্টাখানেক পর ঝরনাটির দেখা মেলে। গাছ-গাছালির সবুজ সৌন্দর্য গলিয়ে যেতে যেতে সুনসান নীরবতায় ঝিঁঝি পোকার ডাক ও নানা জাতের পাখির কলরব শোনা যায়। বিভিন্ন সময়ে অজগর, সজারু, বনবিড়াল, বনমোরগ ও হনুমানের দেখাও মেলে।
চট্টগ্রাম নগর থেকে ৩২ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা মাজার এলাকায় নেমে এরপর পূর্ব দিকে যেতে হয়। প্রথমে হেঁটে কিংবা রিকশা নিয়ে রেললাইন পর্যন্ত যেতে হবে। এরপর পুরো পথ যেতে হবে হেঁটে।
পর্যটকেরা জানিয়েছেন, ঝরঝরি ঝরনায় পানি নামার পথে মাটি দেখতে অনেকটা সিঁড়ির মতো হওয়ায় এটি স্বর্গের সিঁড়ি নামেও পরিচিত। সীতাকুণ্ডের বেশির ভাগ ঝরনায় টিকিট লাগলেও এ ঝরনায় প্রবেশে টিকিটের প্রয়োজন হয় না। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হাঁটার পর পর্যটকেরা যখন ঝরনার পানি ঝরার শো শো শব্দ শোনেন, তখন তাঁদের আনন্দের সীমা থাকে না।
পর্যটন ব্যবসায়ী সোহেল ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল তিনি ১৫ জন পর্যটক নিয়ে ঝরঝরি ঝরনায় এসেছিলেন। এ ঝরনার বিশেষত্ব হলো সারা বছর এখানে পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঝরনাটি পর্যটকদের পছন্দ। এ বছরে তিনি দুবার পর্যটক নিয়ে এসেছেন।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ২৭, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,