নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে যে আলাপটা হয়েছে, সেটা হলো ছয়টি কমিশন হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি হয়েছে। আরেকটি এক-দুদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে। এই বিষয়টা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অবহিত করেছেন। এই কমিশন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে। তাদের তিন মাসের যে টাইমলাইন এই সময়ে তারা তাদের সঙ্গে বসবেন। এরপর তিন মাসের মধ্যে তারা একটা রিপোর্ট দেবেন। এই রিপোর্ট দেওয়ার পরে রিপোর্টগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে আবার কথা বলবেন। এরপর মিনিমাম (ন্যূনতম) রিফর্মের (সংস্কার) ব্যাপারে একটা কনসেনসাস (ঐকমত্য) আসবে। এর ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইন।
শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই বলেছে, তারা সরকারকে নিজেদের সরকার বলেই মনে করে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ়মত প্রকাশ করেছেন। এখানে নির্বাচন, নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কথা এসেছে। কিন্তু সব বিষয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে এই অর্থে যে কমিশনগুলোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে কীভাবে রাষ্ট্রের সংস্কারকে ঢেলে সাজানো হবে। সেটার সমান্তরালে নির্বাচনের যে কার্যক্রম বা প্রস্তুতি সেটাও চলমান থাকবে, সেসব নিয়ে মূলত আলোচনাগুলো আবর্তিত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, প্রশাসনের ভেতরে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদের ব্যাপারে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে এবং সরকার এই যাত্রায় যথেষ্ট সক্রিয় আছে, কীভাবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায়।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিষয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, যতজনই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সবারই বিচারের বিষয়ে বিএনপি তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছে। স্পষ্টভাবে আমরা আমাদের জায়গা পরিষ্কার করেছি যে, আমাদের কার্যক্রমগুলো চলমান।
সূত্র: যুগান্তর।
তারিখ: অক্টোবর ০৬, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,