নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনের দিন এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনার মধ্য দিয়েআওয়ামী-লীগ আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভোটের দিন রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে (৪০) আজ শনিবার দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল। দেখার পর বেলা পৌনে একটায় হাসপাতালের ফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী সময়ে সহিংসতার সৃষ্টি যারা করেছে, তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এমনকি আমার বোন, নোয়াখালীতে তিনি ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হয়েছেন, তিনি চার সন্তানের মা। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগণের কাছে এই বিচার দান করছি। বিচার দিচ্ছি জনগণের কাছে।’
নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করেবিএনপি বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সে জন্য এখন তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের এই রাষ্ট্রপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া—এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করল। একটা অন্ধকার যুগে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্র বিহীন হলো। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাস্তবায়নে তাদের যে নীলনকশা, সেই নীলনকশা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেল।’
আপনারা বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। এখন আপনারা যে বলছেন নির্যাতন হচ্ছে, অত্যাচার হচ্ছে, গণতন্ত্র নেই। সে ক্ষেত্রে আপনারা সামনের দিকে কীভাবে এগোবেন?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
হাসপাতালে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের ছিদ্দিকী, বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ।
সূত্র: প্রথম আলো; ০৫ জানুয়ারি ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,