Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

নেপাল যেতে চায় বাংলাদেশি ট্রাক (২০২২)

Share on Facebook

লেখক:জাহাঙ্গীর শাহ।

নেপাল যেতে চায় বাংলাদেশি ট্রাক

নয়াদিল্লিতে সম্প্রতি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর, শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর-নদীয়া সীমান্তে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের প্রস্তাব।

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন ফিরে যাওয়ার সময় রপ্তানি পণ্য নেওয়ার তাগিদ।

রামগড় দিয়ে দ্রুত পণ্য নিতে চায় ভারত।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মেহেরপুরের মুজিবনগরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখানেই অস্থায়ী সরকার শপথ নিয়েছিল। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে যে পথটি মুজিবনগরে এসেছে, সেই পথটিকে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নামকরণ করতে চায় বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে দুই দেশের শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর অবকাঠামোসংক্রান্ত আরেক সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই পথে দুই দেশের সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।

ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ও স্থলবন্দর, শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামো নিয়ে গত ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উপগ্রুপের সভা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক–সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর। ভারতের নেতৃত্ব দেন সে দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরেকটি প্রস্তাব করা হয়। সেটি হলো বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে নেপাল সীমান্তের কাঁকরভিটা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ দেওয়া। মূলত বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী সীমান্ত দিয়েই নেপালের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্য হয়। এখন নেপাল সীমান্ত থেকে ভারতীয় ট্রাক পণ্য বোঝাই করে বাংলাদেশ সীমান্তে এনে দেয়। এর মানে, ভারত নেপালের পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট করে। বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়নি ভারত। ভারত বলেছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে যেসব দ্বিপক্ষীয় কৌশল বা ব্যবস্থা আছে, তাতে এভাবে তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য স্থলপথ ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে অবাধ যান চলাচল চুক্তি বাস্তবায়িত হলে এটি সম্ভব হবে।

বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি রেল সীমান্ত আছে। এগুলো হলো গেদে, রাধিকাপুর ও হলদিবাড়ী। এই তিনটি স্থানে রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথেও সীমান্ত যোগাযোগব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারত এ বিষয়ে আরও অধিকতর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে চায়। এ ছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আসা পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রেন ফিরে যাওয়ার সময় খালি যায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে, ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা। ভারতীয় পক্ষ সরাসরি এ প্রস্তাবের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব না দেখালেও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর আশ্বাস দিয়েছে।

দুই দেশের এসব প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা স্থলপথে বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা–সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। রপ্তানি ও আমদানি—দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়ছে। বিবিআইএন কার্যকর হলে অবাধে যান চলাচলের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান অনেকাংশে হয়ে যেত। তিনি জানান, ভারতের বাজারে বাংলাদেশের মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে ৪৮ বছর লেগেছে। এ বছর তা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর মানে, গত চার বছরে ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সভায় ভারতীয় পাঁচটি স্থলবন্দরের সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। এগুলো হলো পেট্রাপোল, আগরতলা, ডাউকি, সুতারকান্দি ও শ্রীমন্তপুর। ভারত অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছে এবং কয়েকটিতে অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে উভয় দেশ লাভবান হবে। স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
রামগড় দিয়ে দ্রুত পণ্য নিতে আগ্রহী ভারত

গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের ত্রিপুরার সাব রুম ও বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত পথ উদ্বোধন করা হয়। দুই দেশের সরকারপ্রধান তখন ফেনী নদীর ওপর দিয়ে একটি সেতু উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে ভারতের আগ্রহ, যত দ্রুত সম্ভব এই পথটি চালু করা। দিল্লির ওই বৈঠকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে রামগড় এলাকায় দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণের তাগিদ দেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তাঁদের আশ্বাস দেন।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণে সব মিলিয়ে খরচ ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি টাকা।

এ ছাড়া চেংড়াবান্ধা-বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে রাত আটটা পর্যন্ত পণ্যবাহী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ভারত। বর্তমানে এই সীমান্ত দিয়ে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাণিজ্য হয়। পাশাপাশি এ স্থলবন্দরের পার্কিং–সুবিধা ও গুদামঘরের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়েছে। পাশাপাশি আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন সুবিধা বৃদ্ধিরও তাগিদ দিয়েছে ভারত।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ জানুয়ারী ০৯, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ