Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

নেতাদের জীবন বিশ্লেষণ করে যা জানা গেল (২০২২)

Share on Facebook

লেখক:মেহরীন নেওয়াজ।

বহুকাল আগেই ‘প্যাথোস’ শব্দটিকে অনুপ্রেরণার একটি অনবদ্য অংশ হিসেবে দাবি করেছিলেন অ্যারিস্টটল। দর্শন অনুযায়ী, ‘প্যাথোস’ এমন এক উদ্দেশ্যমূলক আহ্বান, যার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল অনুভূতির উদ্রেক করা যায়। হাজার বছর আগেই অ্যারিস্টটল বুঝেছিলেন, মানুষকে কোনো কাজে অনুপ্রাণিত করতে মানবিক সম্পর্কটাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। যুক্তিবিদ্যা আমাদের ভাবিয়ে তোলে, কিন্তু দিন শেষে আবেগের জোরেই আমরা চলি।

আশপাশের মানুষজনকে যদি অনুপ্রাণিত করতে চান, তবে আবেগগুলোয় একটু টোকা দিলেই হয়তো আশানুরূপ ফল পেয়ে যাবেন। ২০০৯ সালে দ্য ইন্সপায়ারিং লিডার বইটির জন্য প্রায় ২৫ হাজার নেতার জীবন বিশ্লেষণ করা হয়। সেই দলের শীর্ষ ১০ শতাংশের মধ্যেই একটা অদ্ভুত মিল ছিল—তাঁরা সবাই ছিলেন দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনে অত্যন্ত পারদর্শী, হোক তা ব্যক্তিগত জীবনে বা কর্মজীবনে।

নেতৃত্বের স্থান থেকে নিপুণভাবে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজটা করতে কয়েকটি বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এতে শুধু আবেগের উত্থান নয়, সামগ্রিক কাজেরও উন্নতি হয়। সেগুলো হলো:

১. রাগ থেকেই ভালো কিছু

রাগ খুব কাজের কিছু না হলেও বেশ শক্তিশালী একটি আবেগ। তবে উত্তেজিত হয়ে চিৎকার–চেঁচামেচি করা, ঘরভর্তি মানুষকে ভড়কে দেওয়া—এগুলোতে ভালোর থেকে খারাপই হয় বেশি। নেতৃত্বের জায়গা থেকে রাগ দেখাতে হলে যুক্তিসংগতভাবে করা দরকার। রাগের পেছনে যেই আবেগগুলো লুকিয়ে আছে, সেগুলোর মাধ্যমেই মানুষের সঙ্গে আরও অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। তাই এরপর থেকে রাগের অনুভূতিটা তীব্র হলেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আসলেই কি এটা রাগ? নাকি অন্য কোনো অনুভূতির পরিণাম?’

এই রাগকে দুর্বলতার লক্ষণ না ভেবে, স্বচ্ছতার নিদর্শন হিসেবে দেখুন এবং নিজের রাগ চিনতে শিখুন। পুরোপুরি রাগ দমাতে না পারলে উত্তাপের বদলে হতাশা প্রকাশ করুন। আপনার দলের সদস্যরাও মন খুলে নিজেদের মতামত প্রকাশের একটা খোলা জায়গা পাবে। কে জানে, হয়তো দীর্ঘকালীন সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে এই আবেগের জোয়ারে।

২. নতুন কিছুর রোমাঞ্চ

নতুন কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে স্বাভাবিকভাবেই আমরা একটু বেশি উৎসুক থাকি। এই উত্তেজনার প্রাণশক্তি দিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলা যায়। তবে নেতা হিসেবে সেটা করতে আগে নিজেকে উপযুক্ত হতে হবে।

এই নির্দেশনাটির ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখা যায় বিখ্যাত এক ডেটা সায়েন্টিস্টের কার্যকলাপে। তিনি ঠিক হতাশাবাদী না হলেও ইতিবাচক প্রভাবের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে ছিলেন। স্প্রেডশিট থেকে বের হয়ে তথ্য দিয়ে যে মানুষের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি। তাই তাঁর দলের কাজও চলছিল গড়পড়তা।

ধীরে ধীরে সেই বিজ্ঞানী মানবিক সম্পর্ক গড়ে তোলা শুরু করেন। মিটিংয়ে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের দিকেও তাকাতে শুরু করেন। ছয় মাসের প্রচেষ্টার পর দেখা যায় তাঁর পুরো দলটাই উন্নতি করছে। শুধু তা–ই নয়, বিজ্ঞানী নিজেও হয়ে ওঠেন আরও পারদর্শী ও প্রেরণাদায়ক।

তবে তার মানে এই নয় যে মনের অবস্থা খারাপ থাকলেও মেকি হাসির মুখোশ পরে থাকতে হবে। নেতৃত্বের স্থানে থেকেও যদি ক্লান্তি, দুঃখ, কষ্ট মানুষের সামনে প্রকাশ করা যায়, তবে তা আপনাকে লোকচক্ষুর সামনে দুর্বল নয়, আরও মানবিক করে তুলবে।

৩. স্বতন্ত্র উন্নয়ন

একজন নেতার দায়িত্ব শুধু দলগত উন্নয়ন নয়, প্রত্যেক সদস্যের স্বতন্ত্র উন্নয়নও। ভেবে দেখুন, আপনার খুব পছন্দের শিক্ষক যিনি, তিনি নিশ্চয়ই আপনার সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছেন। এতে আবার দুই পক্ষই সমানভাবে উপকৃত হয়। একজন পায় পথনির্দেশনা, আরেকজন পায় আত্মবিশ্বাস। ব্যবসার ভাষায় বলা যায়, এটি একটি দীর্ঘকালীন বিনিয়োগ। যেই সময়টা একজন মানুষের পেছনে ব্যয় করা হয়, তার বদলে পাওয়া যায় বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা—যার মূল্য কোনো কিছুর সঙ্গেই বিনিময়যোগ্য নয়।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ৩১, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ