কর্ম ক্ষেত্রে যদি বেশ ব্যস্তাতায় থাকা যায় তবে কি লেখা যায় !! নাকি লেখা থেমে থাকে – এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও এ কথাটি সত্য যে কর্ম ক্ষেত্রে শত ব্যস্তাতায় থেকেও লেখা যায়। যারা খ্যতি পেয়েছেন তাঁরা শত ব্যস্ততায় থেকে লিখেছেন। লেখকদের সাথে সাময়িক লেখকদের মধ্য বড় পার্থক্য হচ্ছে লেখকরা যে কোন পরিস্থিতে লিখতে পারেন, লিখেন এবং লিখেছেন। সাময়িক লেখকরা কোন পরিস্থিতির সাথে গরমিল দেখা দিলে লেখা থামিয়ে দেন।
অনেক সাময়িক লেখক আছেন – ছাত্র জীবনে ভালো লেখার হাত থাকার পরেও কর্ম জীবনে প্রবেশের সাথে সাথে লেখা থামিয়ে দেন, কিম্বা দাম্পত্য জীবন শুরুর সাথে সাথে বা কোন অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে লেখা থামিয়ে দেন।
যিনি লেখক, যিনি কবি তিনি যে কোন অবস্থায় লিখে যাবেন, সাহিত্যের পাতায় একটি জায়গা দখল করে নিবেন। সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মাথায় একটি জায়গা দখল করে নেওয়া অনেক কষ্টের, অনেক কষ্টের একটি দীর্ঘ পথ।
হোক সে পথ যত দীর্ঘ, যত কষ্টের একবার লিখে, লেখার হাতে ভালো লেখা আসার পরে কোন অবস্থান পরিবর্তনের সাথে লেখা কেন থেমে যায় !! কেন লেখক কবি, হারিয়ে যায় !!
হতে পারে কখনো একটি কবিতার চেয়ে এক থালা ভাতের মূল্য অনেক বেশি আবার একটি কবিতার তুলনায় এক বস্তা টাকা মুল্যহীন।
এই ব্লগের যুগে, এই ব্লগের সুযোগে যাদের লেখার হাত ভালো তাঁদের উচিত জীবনের প্রতি বাঁকে, নানান বাঁকে কোন অবস্থান পরিবর্তনকে তোয়াক্কা না করে লেখার চর্চা চালিয়ে যাওয়া, নিয়মিত লেখার চর্চা করা।
তারিখ: আগষ্ট ২১, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,