বেশ কিছু দিন আগের কথা, একবার মনে হল – খুব নিচু মনের একজন মানুষ হয়ে আছি। কোন কিছু আর উদার ভাবে ভাবতে পারছিলাম না, নিচু মনের হলেও একটি নীতি ধারণ করে বসলাম যতই নিচু মনের হই না কেন অন্ততঃ মানুষের সাথে কোন বিরোধ থাকবে না, যত নিচু মনের, যত নিচু জাতের অনুভূতি সবই থাকুক নিজের মনে মনে।
হঠাৎ একদিন তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় সূর্যটাকে বেশ গাল মন্দ করলাম, বললাম গরমের সময় শরীরে ঘাম ঝড়িয়ে দাও আর এখন একটু তাপ প্রয়োজন বলে লুকিয়ে রইলে !! কেমন যে তুমি কখন তাপে জ্বালিয়ে দাও কখন যে ঠান্ডায় বরফ বানিয়ে দাও !! অথচ সূর্যকে কি গাল মন্দ করা মানুষের সাজে !!!
নিচু মনের হওয়াতে কেমন যেন খাপ ছাড়া লাগল নিজেকে, মনে হচ্ছিল নিজে একটা মরা শকূন হয়ে মাঠে পড়ে আছি, নিজেকে প্রশ্ন করলাম ‘ শকুন হওয়া ভালো নাকি আয় ছাড়া কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হওয়া ভালো। !! ‘
আবার একটি প্রশ্ন বের হল – ‘ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য রাস্তার উপর দিয়ে চলা ভালো নাকি অসহায় মানুষের বুকের উপর পাড়া দিয়ে চলা ভালো !! ‘ বা ‘ হাড়ি থেকে নামানো গরম ভাত খেতে ভালো নাকি ! পেটে সহ্য না হওয়া বিরাণী খেয়ে বমি করা ভালো !! ‘
নিচু মনে কিছু কথা চিন্তা করতে করতে মনে হলো বেশ তো কতকগুলি প্রশ্ন চলে আসছে মনে যেমন, ‘ ঋণ করে বেঁচে থাকা ভালো নাকি ঋণ করে ফূর্তি করা ভালো !! ‘ কিম্বা ” কষ্ট করা ভালো নাকি অন্যের কষ্ট দেখে খুশি হওয়া ভালো !!”
একবার মনে হল উঁচু মনের মানুষ হতে হলে কতক গুলি তত্বের উপর ভর করে চলতে হয়, নিজেকে কতকগুলি তত্ব বের করে আনতে হয়। তবে বেশ মনে হল বেঁচে থাকার জন্য বড় প্রয়োজন কিছু সঠিক তত্বের আর সে তত্বগুলি মনে হয় সাধারণ মানুষের কাছে ততটা সহজে ধরা দেয় না।
বিশাল একটি বৃক্ষে শুধু মাত্র একটি ফল, বৃক্ষের নিচে অসংখ্য মানুষ ফলটিকে নিজের আয়ত্বে আনার জন্য প্রাণ পণ লড়াই করে যাচ্ছে আর ফলটি হল একটি ভালো তত্ব যা কোটি মানুষকে দেয় পথ নির্দশনা। নিজের কথা দিয়ে লেখাটি শেষ করি – বিরাট বৃক্ষের ফলটি কখনই আমার স্পর্শ করা হল না, কখনই আয়ত্বে আনা হল না, তবুও চেষ্টা থাকুক লেখা-লেখিতে। বৃক্ষের ফল একদিন আয়ত্বে না আসলেও অন্ততঃ একটি ভালো বৃক্ষের পাতা আসুক নিজের আয়ত্বে !
তারিখঃ ১৯ অক্টোবর ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,