অনুবাদ:শেখ নিয়ামত উল্লাহ।
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে একে একে ক্ষমতার অপব্যবহার আর বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়ার অকপট ফিরিস্তি দিলেন সরকারি কর্মকর্তারা। ঘুষ, অবৈধ লেনদেন আর দুর্নীতির মাধ্যমে নানা সুবিধা নেওয়ার গল্পগুলো তুলে ধরার সময় তাঁদের নিরুদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসী, এমনকি হাসিখুশিই দেখা গেছে।
সামুদ্রিক খাবারের বাক্সে তিন লাখ মার্কিন ডলার। প্রায় প্রতি মৌসুমেই জমকালো বাড়ির মালিক হওয়া। রাস্তায় লাল বাতির তোয়াক্কা না করেও মামলা এড়িয়ে যাওয়া। দেখলে মনে হবে কোনো রিয়েলিটি শোতে মাফিয়া ডনরা তাঁদের সবচেয়ে বড় অপরাধগুলোর বর্ণনা দিচ্ছেন। তবে ঘটনা আদতে তেমন নয়। দুর্নীতিবিরোধী একটি ধারাবাহিক প্রামাণ্যচিত্রে নিজেদের অপকর্মের কাহিনিগুলো তুলে ধরেছেন চীনা কর্মকর্তারা।
তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছে চীন সরকার। উদ্দেশ্য ছিল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণার সাফল্য তুলে ধরা। তবে সেটি এর উল্টোটাই তুলে ধরেছে। দেখে মনে হয়, দুর্নীতিতে লাগাম টানতে কোনো পথ খুঁজে পায়নি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি।
জিরো টলারেন্স শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের নভেম্বরে সি চিন পিং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলায় দেশটিতে প্রায় ৪৪ লাখ ব্যক্তি তদন্তের মুখে পড়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় ৪০ লাখ সদস্যকে সংশোধনের আওতায় আনা হয়েছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ২০১৪ সাল থেকে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এর অষ্টম পর্ব জিরো টলারেন্স। সাংবাদিকতা ও শৈল্পিক বিচারে এটাই সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তবে এর নির্মাতা, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আর পার্টির দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যে কমিউনিস্ট পার্টির নোংরা বিষয়গুলোই তুলে ধরছেন, সে বিষয়ে তাঁরা বুঝে উঠতে পারেননি। একদলীয় শাসনের দেশে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এ ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দোষারোপ করার মতো কমিউনিস্ট পার্টির সামনে কেউ নেই। এর দায় তাদের নিজেদেরই নিতে হবে।
কখনো কখনো তথ্যচিত্রটিকে মনে হয়েছে রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক অনুষ্ঠান। দুর্নীতি কীভাবে করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কীভাবে এতে জড়িয়েছেন, তার বিস্তারিত এখানে উঠে এসেছে। এখানে যে বিষয়গুলো কাজ করেছে তা হলো ক্ষমতা, অর্থ ও যৌনতা। এটা দেখে যে বিষয়গুলো বোঝা গেছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
চীনে সরকারি কর্মকর্তা হওয়াটা দারুণ ব্যাপার
চীনা কর্মকর্তারা ছোট–বড় নানা সুবিধা ভোগ করেন। খেয়ালখুশিমতো যেকোনো কাজে প্রশ্রয় পান; আর সুযোগ–সুবিধায় মোড়া এমন জীবনযাপন করেন, যা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা যায় না।
জননিরাপত্তাবিষয়ক সাবেক ভাইস মিনিস্টার সান লিজুনের ওপর চীনের জাতীয় পুলিশ বাহিনীকে দেখভালের দায়িত্ব ছিল। এক প্রাদেশিক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে কীভাবে প্রতিবছর চার–পাঁচ বাক্স ‘সামুদ্রিক খাবার’ পেতেন, সেই ঘটনা বর্ণনা করেছেন তথ্যচিত্রে। প্রতি বাক্সে তিন লাখ মার্কিন ডলার থাকত। এভাবে বছরের পর বছর ঘুষ নিয়ে দেড় কোটি ডলার পকেটে ভরেছেন এই কর্মকর্তা।
সাক্ষাত্কারের পুরো সময়টিই হাসিখুশি ছিলেন সান লিজুন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই তিনি (প্রাদেশিক কর্মকর্তা) যখন বলতেন যে কিছু সামুদ্রিক খাবার পাঠাবেন, আমি জানতাম তাতে কী আছে।’
ওয়াং ফুয়ু, হাইনান প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি। পরে গুইঝো প্রদেশেও একই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যবসায়ীদের একেক মৌসুমের জন্য একেক শহরে বাড়ি কিনে দিতে বলেছিলেন। শীতকালে গ্রীষ্মপ্রধান হাইনান দ্বীপে, গ্রীষ্মকালে গুইঝো মালভূমিতে আর বসন্ত ও শরতে দক্ষিণের শহর শেনঝেনে। ওয়াং গলফপ্রেমী। তাই একটি গলফ কোর্সেই অট্টালিকা ছিল তাঁর। ফটকের বাইরে পা রেখেই খেলায় মেতে উঠতে পারতেন তিনি।
বেইজিংয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন চেন গাং। পড়ালেখা করেছেন চীনের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে স্থাপত্যবিদ্যায়। বেইজিংয়ের শহরতলিতে একটি কমপ্লেক্স তৈরি করতে তাঁর অবৈধ উপার্জন দুই কোটি ডলারের বেশ কিছুটা খরচ করেছিলেন। ওই কমপ্লেক্সের নকশাও করেছিলেন তিনি।
তথ্যচিত্র বলছে, ১৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ওই কমপ্লেক্সে ছিল চীনা আঙিনা, পশ্চিমা ধাঁচের কাচে মোড়ানো একটি অট্টালিকা, একটি জাপানি বাগান, সাদা বালুর একটি কৃত্রিম সৈকত, একটি থিয়েটার আর একটি স্পা।
তথ্যচিত্রে এমন খোলামেলাভাবে সবকিছু সামনে আসায় চীনের জনগণের একটি অংশ যেমন ওই সব জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে, তেমনি অনেকেই আতঙ্কিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ রসিকতা করে বলেছেন, প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে মনে হয়েছে, এটি সরকারি কর্মচারী নিয়োগের একটি বিজ্ঞাপন অথবা কীভাবে ঘুষ নেওয়া যায়, তার একটি নির্দেশনা। অনেকেই আবার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ন্যূনতম অনুশোচনা, এমনকি কখনো কখনো বুক ফুলিয়ে সেসব বলতে দেখে অবাক হয়েছেন।
দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা কাজে না আসায় কমিউনিস্ট পার্টিকে জবাবদিহি নিশ্চিতে নতুন কিছু করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক বিশ্লষক। প্রামাণ্যচিত্রে ১৬ জনের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। ওয়াং ফুয়ু ও চেন গাংয়ের মতো তাঁদের বেশির ভাগই এসব অপকর্ম করেছেন সি চিন পিং ক্ষমতায় আসার পর।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ থেকে বোঝা যায় যে প্রামাণ্যচিত্রটিকে ঘিরে জনগণের প্রতিক্রিয়া এর নির্মাতাদের মনঃপূত হয়নি। উইবোতে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সেন্ট্রাল টেলিভিশন স্টেশনের একটি পোস্টে দেড় হাজার মন্তব্য করা হলেও ২০টির কম দেখা যায়।
এক উইবো ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি বুঝি না আমাদের মতো ছোট আলুদের কেন জিরো টলারেন্স দেখতে হবে। আমাদের জীবন কতটা সামান্য আর করুণ তা মনে করিয়ে দিতে?’
পরিবার মিলেই সব ঘটেছে
কর্মকর্তারা সব সময় সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। অনেক সময় এসব কর্মকর্তার স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোনেরা তাঁদের পক্ষে ঘুষ গ্রহণ করতেন অথবা ভুয়া কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে তা নেওয়ার পথ করে নিতেন।
এমন কর্মকর্তাদের দুই ছেলে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি কয়লা কোম্পানি গড়ে তুলেছিলেন। তবে সে কোম্পানিতে কোনো কর্মী ছিল না, মূলধন এমনকি ব্যবসায়িক কার্যক্রমও ছিল না। তাঁদের ‘কাজ’ ছিল শুধু কম দামে কয়লা কিনে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য চুক্তিতে সই করা। সাক্ষাত্কারে ওই দুই ছেলেই স্বীকার করেছেন, ক্ষমতাধর বাবা না থাকলে তাঁরা এ সুযোগ আদৌ পেতেন না।
চীনের হাইনান প্রদেশের রাজধানী হাইকো নগরীর কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি ছিলেন ঝ্যাং কি। তিনি কানাডায় ছেলের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এ সফরে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন একজন ব্যবসায়ী। সেবার ঝ্যাংয়ের ছেলেকে ‘জীবনযাপনের খরচা’ হিসেবে ৮০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন তিনি।
ওই ছেলে পরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিয়েছিলেন। সেই অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার পাশাপাশি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রামাণ্যচিত্র অনুযায়ী, তাঁদের পরিবার সব মিলিয়ে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছিল।
ক্ষমতাই অর্থ
দেশের অর্থনীতিতে চীন সরকারের কর্তৃত্ব ব্যাপক মাত্রায়। কারণ, দেশটির প্রায় সব ভূমি, প্রাকৃতিক সম্পদ ও ব্যাংকের মালিকানা সরকারের হাতে। এর ফলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের যেকোনো সম্পদ বা ব্যবসা কারও হাতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো লোকজন বাছাইয়ের ক্ষমতা রয়েছে, যা দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়।
সাক্ষাৎকারে ইনার মঙ্গোলিয়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাই জিয়াংকুন বলেন, ‘আমার কথাই শেষ কথা ছিল। বড় ব্যবসায়ীদের জন্য আমি অনেক কিছুই অনুমোদন দিতাম।’
প্রাচীনকাল থেকেই চীনে এটা সবাই ভালোমতো বোঝে যে ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, বিশেষ করে অর্থ। ওয়াং লাইক, এই পুলিশ কর্মকর্তাই ‘সামুদ্রিক খাবারের’ নামে অর্থ পাঠাতেন। তাঁর জন্ম বিত্তশালী এক পরিবারে। তথ্যচিত্রে ওয়াংয়ের ভাই বলেন, বিত্তশালী পরিবারে জন্মের পরও তাঁর বাবা বুঝতে পারেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কাজ করার তুলনায় ব্যবসা করে অর্থ কামানো বেশি কঠিন। এ কারণেই ওয়াং সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
বেইজিংয়ের সাবেক ডেপুটি মেয়র চেন গাং বলেন, ঘুষ নিতেই শহর পরিকল্পনায় নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করেছিলেন তিনি। একজন আবাসন ব্যবসায়ীর হাতে কোনো জমি আসার পর সেখানে তিনি কী নির্মাণ করতে পারবেন, এমনকি জমির কতটুকু জায়গায় নির্মাণকাজ করা যাবে, সে সিদ্ধান্তের এখতিয়ার ছিল শুধু চেন গাংয়ের। তিনি বলেন, এ সবকিছুই আবাসন ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত হিসাব–নিকাশের ওপর প্রভাব ফেলত।
অনেক কর্মকর্তাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ নেওয়ার এ আয়োজনে কোনো ভুল দেখতেন না। যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের লিয়াওনিং প্রদেশের সাবেক ভাইস গভর্নর লিউ গুয়োকিয়াং বলেন, ‘আমার সব সময় মনে হতো, তাঁরা আমার কাছে দায়গ্রস্ত।’
লিউ গুয়োকিয়াংয়ের নেওয়া ঘুষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ছোট থেকে বড় হতে সহায়তা করেছি। তারা আমাকে অর্থ দিয়েছিল, কারণ সত্যিকার অর্থেই তারা কৃতজ্ঞ ছিল।’
কিছুটা অনুতপ্ত
কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারীই তাঁদের এ বক্তব্য নিয়ে সন্দিহান। তাঁরা বলেছেন, এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কথাবার্তা শুনে বরং মনে হয়েছে, সবকিছু এড়িয়ে তাঁরা এসব চালিয়ে যাবেন বলে ভেবেছিলেন। তবে কপাল খারাপ হওয়ায় ধরা পড়েছেন।
তথ্যচিত্রে গলফপ্রেমী ওয়াংকে একজন ‘দ্বিমুখী’ মানুষ আখ্যায়িত করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গলফের মাঠে তাঁর বিশাল অট্টালিকার দেয়ালগুলো চীনা ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সাজানো। সেখানে জনগণের প্রতি তিনি কতটা যত্নশীল আর অর্থ–খ্যাতির প্রতি তাঁর মোহ না থাকার কথা অনেকটা গর্ব করেই লেখা হয়েছে।
সাক্ষাত্কারের একপর্যায়ে ওয়াং উচ্চস্বরেই বলে ওঠেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করা সঠিক ছিল।’ সি চিন পিংয়ের অধীনে জনপ্রিয়তা পাওয়া রাজনৈতিক স্লোগান দিতে দিতে তিনি বলেন, ‘আমি মূল আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্যের প্রতি অবিচল থাকতে ব্যর্থ হয়েছি।’
গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে পাঁচ দিন সন্ধ্যার খবরের পর ধারাবাহিকভাবে প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়েছিল। চীনের দুর্নীতিবিরোধী বাহিনীর মুখপত্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রচারের পরপরই এ–সংক্রান্ত হ্যাশট্যাগ প্রায় ১৮ কোটি বার দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে একই সময়ে সম্প্রচার করা অন্য অনুষ্ঠানের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ।
প্রচারণার ক্ষেত্রে চীন সরকার দিনকে দিন ভালো করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যেভাবে তুমুল জনপ্রিয় এ প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে, সেটা দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্রের ক্ষেত্রে করা উচিত কি না।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেয়ারমন্ট ম্যাককেনা কলেজের অধ্যাপক এবং চায়না’স ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বইয়ের লেখক মিনজিন পেই বলেছেন, ‘কৌশলগতভাবে এটা সফল। তবে এর রাজনৈতিক প্রভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’
অনুবাদ: শেখ নিয়ামত উল্লাহ
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,