নার্সিসাসের ঘটনাটা আপনারা অনেকেরই জানা তবু এই বিষয় নিয়ে কিছু কথা !
নার্সিসাস ছিলো সুন্দর এক যুবক। তার নেশা ছিল প্রতিদিন একটা সুন্দর সরোবরের কিনারে হাঁটু মুড়ে বসে সরোবরের জলে নিজের সৌন্দর্য অপলক চোখে উপভোগ করা।
একদিন এই রকম করতে করতে অসাবধানে সরোবরের জলে সে পড়ে গেল এবং ডুবে মারা গেল।
যেখানে সে সরোবরের জলে পড়ে গিয়ে মারা গেল সেখানে একটা সুন্দর ফুল জন্মালো। ফুলটারও নাম দেওয়া হলো নার্সিসাস।
একদিন বনের দেবীরা সেখানে এলো। তারা সরোবরের জলে মুখ দিতেই জলের স্বাদ নোনতা লাগলো। তারাবুঝতে পারলো সরোবরের কান্নায় কান্নায় তার জলের স্বাদ নোনতা হয়ে গেছে।
“তুমি এত কাঁদো কেন?” তারা সরোবরকে জিজ্ঞাসা করলো।
“আমি নার্সিসাসের জন্য কাঁদি”সরোবর উত্তর দিলো।
“কেন নার্সিসাস কি খুবই সুন্দর ছিল? আমরাও তাকে দেখেছি কিন্তু খুব কম দেখেছি এবং অনেক দূর থেকে দেখেছি। একমাত্র তুমিই তাকে প্রতিনিয়ত দেখেছ এবং একদম কাছ থেকে দেখেছে। ”
সরোবর বললো,”আমি তার মৃত্যুতে কাঁদি কিন্তু তাকে ভালোবেসে কাঁদি না। সে সুন্দর দেখতে ছিল কি না তাও সেভাবে কোনদিন দেখি নি। আসলে সে যখন আমার জলে অপলক চোখে তার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে নিজের রূপ উপভোগ করতো আমিও তার অপলক দুই চোখের ভিতরে আমার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে আমার রূপ উপলব্ধি কোরতাম।”
অনেকদিন আগে পড়া তাই স্মৃতিভ্রমও হতে পারে।
ঠিক ঠিক বলতে পারলাম কি না জানি না।
তবে আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই (আমার মধ্যেও) একজন নার্সিসাস বাস করে না কি? আত্মনাশক বিহ্বলতায় আমরা জীবনভর নার্সিসাসের মতো(বা সরোবরের মতো) অন্যের চোখের তারায় আমাদের রূপ গুণ ব্যক্তিত্বের প্রতিবিম্ব দেখেই যাই।
সূত্র : সংগৃহিত।
তারিখ: মার্চ ১৮, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,