দেশের ধর্মীয় নেতা ও আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যারা এ দেশের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র, তাদেরও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে একটা ক্র্যাকডাউন করা হয়েছে। সেই ক্র্যাকডাউনের মধ্য দিয়ে আজকে একদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অন্যদিকে ধর্মীয় নেতা যারা আছেন, আলেম ওলামা যারা আছেন তাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২৬ মার্চকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে এগুলোতে সরকারের তৈরি করা, আমি এর আগেও বলেছি। সরকার খুবই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাগুলো যাতে ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
বায়তুল মোকাররমে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছিল তা শান্তিপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে অশান্তিপূর্ণ করে দেওয়ার পেছনে পুলিশের সবচেয়ে বড় ভূমিকা, তারপর আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায়। সেই কারণেই হাটহাজারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।
এই ধরনের ধর্মীয় নেতাদের অপমান করা হয়রানি করা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা মোকদ্দমা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় নেতা, আলেম ওলামাদের মুক্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন। এ ছাড়া বিএনপির যে সমস্ত নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরও নিঃশর্ত মুক্তি এবং সকল মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের গ্রেপ্তার হওয়া নেতা–কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। আজ সোমবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। আমিরের প্রেসসচিব ইনামুল হাসান ফারুকী ভিডি বার্তাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠান।
ভিডিও বার্তায় বাবুনগরী হেফাজত সম্পর্কে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করে সংঘাত ও ভাঙচুরে না জড়াতে বলেছেন।
বাবুনগরী বলেন, প্রশাসন রমজানে উলামায়ে কেরাম, তৌহিদি জনতাকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। সারা রাত মানুষ বাইরে থাকছে। তারা ইফতার ও সাহ্রি কীভাবে করবে। হাটহাজারী মাদ্রাসার আশপাশের লোকজনও রাতে ঘরে থাকতে পারছে না। অথচ তারা কোনো আন্দোলনে ছিল না।
মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জুনায়েদ আল হাবিব, মামুনুল হক, ইলিয়াস হামিদীকে মুক্তি দিন। ৯ বছর আগের মামলায় কেন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এত দিন কোথায় ছিলেন আপনারা। ২০১৩ সালের মামলা ডাহা মিথ্যা।
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: এপ্রিল ১৯, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,