Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল, সংঘর্ষ, নিহত ২ (২০২৪)

Share on Facebook

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিলকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার পাশাপাশি ঢাকার বাইরে অন্তত পাঁচ জেলায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন একজন শ্রমিক। খুলনায় পিটুনিতে পুলিশের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

রাজধানীর উত্তরায় গণমিছিল কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কারও কারও হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে সিলেট ও খুলনায়। লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক যুবককে অস্ত্র হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিতে দেখা গেছে। নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৭০ জন।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। গতকাল আরও দুজন নিহত হলেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৫ জনের।

গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল অন্তত ২৮ জেলায় এই কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।

খুলনায় কাঁদানে গ্যাসের শেল, সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্য নিহত
সুমন কুমার ঘরামী
সুমন কুমার ঘরামী
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা খুলনার শিববাড়ী থেকে গণমিছিল নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানা মোড় হয়ে গল্লামারীতে এসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখানে যাওয়ার পথে বিক্ষোভকারীরা সোনাডাঙ্গা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশ থানার ফটক বন্ধ করে দেয়।

পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিল লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। মিছিলে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও যোগ দিতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশের উদ্দেশে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সামনে এগোতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৃষ্টির মধ্যে পুলিশ পিছু হটে।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিক্ষোভকারীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে এগিয়ে গিয়ে গল্লামারী ব্রিজের ওপর অবস্থান নেন। পুলিশ গল্লামারী মোড় থেকে দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এর মধ্যে পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরতে শুরু করেন। এ সময় গল্লামারী কাঁচাবাজার এলাকার একটি দোকানের মধ্যে পুলিশের চার সদস্য আটকা পড়েন। দোকানের শাটার খুলে তাঁরা বাইরের পরিস্থিতি দেখতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পুলিশ সদস্যরাও গুলি ছোড়েন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক পেটান। আধা ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সুমন কুমার ঘরামী নামের পুলিশের একজন কনস্টেবল মারা গেছেন। পুলিশের ২০-২৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হন। তিনি বলেন, ‘সারা দিন তো আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিলাম। আমরা ফাঁকা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছাড়া কিছু ছুড়িনি; কিন্তু তারা তো মানল না। তারা আমাদের লোককে পিটিয়ে মেরে ফেলল।’

সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সেখানে ১৭ জন এসেছিলেন। এর মধ্যে সাতজনের শরীরে ছররা গুলির ক্ষত রয়েছে।

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পর গণমিছিলে অংশ নিতে হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা সেখানে আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। টাউন হল পৌর মিলনায়তনের সামনে অবস্থান নেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে সংহতি জানান।

পরে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার দিকে যেতে থাকেন। তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও বিক্ষোভকারীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন। তখন বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। আরেকটি অংশ সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বাসার সামনে থাকা চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থলের দিকে পুলিশ এগিয়ে এলে তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোস্তাক মিয়া (২৪) নামের একজন নিহত হন। মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন মারুফ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিলেন। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তাকের হাতে আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা হাসপাতালে অন্তত ৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসক মোসা. জিলুফা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ শনিবার সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সিলেটে দফায় দফায় সংঘর্ষ
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ। গতকাল বিকেলে সিলেটের আখালিয়া এলাকায়
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ। গতকাল বিকেলে সিলেটের আখালিয়া এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিক, পথচারীসহ অন্তত আড়াই শ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হামলায় সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হসপিটালের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মিছিল করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁরা একাধিকবার আঞ্চলিক মহাসড়কে ওঠার চেষ্টা করেন। তখন আবার তাঁদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও দফায় দফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তেমুখী, সুরমা আবাসিক এলাকা, তপোবন, আখালিয়া, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা ও বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে থেমে থেমে ছাত্র-জনতার এ সংঘর্ষ হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাঁদের যেতে বলে। তবে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ১২ জনকে পুলিশ আটক করেছে।

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র হাতে ধাওয়া
লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে অাগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করতে দেখা যায়। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে শহরের উত্তর তেমহনী এলাকায়
লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে অাগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করতে দেখা যায়। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে শহরের উত্তর তেমহনী এলাকায়ছবি: সংগৃহীত
জুমার নামাজ শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের চক মসজিদ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীসহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা কর্মসূচিতে আসা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসার ভেতরে অবস্থান নেন।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল বের করেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে মিছিল থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের বাধা ভেঙে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ওপর ইটপাটকেলও ছোড়েন। এর মধ্যে ৭-৮ জন বিক্ষোভকারীকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। সংঘর্ষে উভয়ের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষের পর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্র হাতে সুমন নামের এক যুবক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন ওরফে টিপুর গাড়িচালক।

জানতে চাইলে এ কে এম সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্রটি আমার লাইসেন্স করা। সংঘর্ষের পর গাড়িচালককে দিয়ে অস্ত্রটি বাসায় পাঠিয়েছি। এ সময় কেউ একজন ছবিটি তুলেছেন। সংঘর্ষের জন্য অস্ত্রটি ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়।’

অস্ত্র হাতে যুবকের ছবিটি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন মজুমদার ফারুক। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।

নরসিংদীতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা
নরসিংদীতে দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণদী এলাকায় জড়ো হন। বেলা আড়াইটার দিকে গণমিছিল নিয়ে তাঁরা উপজেলা মোড়ের প্রেসক্লাব অভিমুখে রওনা হন। মিছিলটি উপজেলা মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। তখন বিক্ষোভকারীরা সেখানে দাঁড়িয়ে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এস এম কাইয়ুম দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।

জানতে চাইলে এস এম কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো কথাই তাঁরা (বিক্ষোভকারীরা) শুনছিলেন না। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দেওয়া হয়। যাঁরা আহত হয়েছেন, দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছি।’

বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন ও নরসিংদী আদালতের আইনজীবী শিরিন সুলতানা। নাদিরা ইয়াসমিন বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালিয়েছে। এভাবে বাধা দিয়ে কত দিন রাখতে পারবেন তাঁরা?’

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ০৩, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ