সব চলছে ঠিকঠাক। কিন্তু বন্ধুর সরস কোনো কৌতুকে কেউ হাসতে পারছে না। পারছে না ফুরফুরে মেজাজে দুহাত ভরে কেনাকাটা করতে। এমনকি পানশালায় ঢুঁ মেরে গলা ভেজানোও বন্ধ! এভাবে যদি ১১ দিন চলে, তবে কেমন হবে ভাবুন একবার?
উত্তর কোরিয়ার মানুষকে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার থেকে ১১ দিন এভাবেই কাটাতে হবে। এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং–উন। দেশটির প্রয়াত নেতা কিম জং–ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটিতে ১১ দিনের জন্য শোক পালনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি কারাগারেও যেতে হতে পারে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কিম জং-ইল ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৬৯ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর দেশটির শাসনের দায়িত্ব পান তাঁর ছেলে কিম জং–উন।
স্থানীয় এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ সময়ের মধ্যে পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে আপনি চিৎকার করে কাঁদতে পারবেন না। এমনকি মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ ঘর থেকে বের করতে পারবেন না। শোক চলাকালে কারও জন্মদিন পড়ে গেলে সে তার জন্মদিন উদ্যাপন করতে পারবে না।’
বাবার মৃত্যুর পর থেকে কিম জং–উন প্রতিবছর তাঁর বাবার স্মরণে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। বাবার পাশাপাশি একই সমাধিসৌধে রয়েছে তাঁর দাদা উত্তর কোরিয়ার স্থপতি কিম ইল–সাংয়ের সমাধিও। কিম জং–ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে এবার শোকের সময়কাল একদিন বাড়িয়ে ১১ দিন করা হয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর ১০ দিনের শোক পালন করা হয়। কিম জং–উন তাঁর বাবার সম্মানে জাতীয় সভাও ডেকেছেন এবার। এর আগে প্রথম এবং পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে এমন সভা ডাকা হয়েছিল।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,