মাঝে মাঝে কার মন বিক্ষিপ্ত হয়ে না উঠে !! আর বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেই যত বিপত্তি ! যত্ত সব আজব ও সু-চিন্তিত চিন্তা চেতনা মাথায় এসে ভর করে আর তার বিলুপ্ত না ঘটানো পর্যন্ত মনের মধ্য নানান হাহাকার !
মানুষের মন যে সব সময় এক রকম থাকে না, তা প্রায় দু বছরের নিচের বয়স ছাড়া প্রায় সব মানুষেই জানে।
ইরানের জগৎ বিখ্যাৎ কবি হাফিজ শিরাজি, সমরখন্দ আর বুখারা বিলায়ে দিতে চেয়ে তিনি তাঁর কবিতায় লিখেছিলেন –
” ইগার আন টুরকি শিরাজী
বেদেস্ত্ আরাদ দিলি মারা
বি খালি হিন্দুস বাকশিম্
সমরখন্দ য়ু বুখারা।”
ইংরেজী এক কবি ইংলিশে অনুবাদ করেছেন –
If that Shirazi Turk will take my heart into his hand
I’ll give up, for his Indian beauty spot, all Samarkand and Bukhara.
বাংলায় আর এক কবি অনুবাদ করে লিখেছেন ”
‘প্রিয়ার মোহন চাঁদ কপোলে
একটি কালো তিলের তরে
দেই বিলিয়ে সমরখন্দ আর রত্নাখচা এই বুখারা’”
প্রিয়ার গালে একটি তিলকের জন্য কবি হাফিজ, সমরখন্দ আর বুখারা বিলায়ে দিতে চেয়েছিলেন, আর বেরসিক সম্রাট তৈমুর রেগে গিয়ে বলেছিলেন “হাফিজ, তোমার এত্ত বড় সাহস যে আমার জয় করা সমরখন্দ আর বুখারা শহর তুমি তোমার প্রিয়ার একটি তিলের জন্য বিলিয়ে দিতে চাও !!!
হাফিজের উত্তর, ‘এমন দানই তো হাফিজকে আজ পথের ফকির বানিয়েছে.…………………।
আর এ দিকে প্রায় দুই / তিন যুগ আগে ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিক খুশবন্ত সিং বলেছিলেন ” তোমরা তোমাদের রুনা লায়লাকে আমাদের দিয়ে দাও। আমরা তোমাদেরকে গঙ্গার পানি দিয়ে দিব। ভাগ্য সুপ্রশন্ন ছিল যে ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিককে কেউ ধমক দিয়ে কিছু বলেন নি। তা ছাড়া আমরা আমাদের রুনা লায়লাকে অন্য দেশকে দিবই বা কেন!!
মন আজ বিক্ষিপ্ত, মনের ভিতরে আজ যে ষাঁড় ছুটাছুটি করছে, তা হয় হয়তো করত না, যদি কাউকে দু লাইন লিখতে পারতাম ” তোমার আরও একটি চকিত চাহনীর বিনিময়ে মুঘোলদের, নবাবদের, এই বাংলা আমি বিলিয়ে দিতাম !! ”
তারিখ: মে ১০, ২০১৩
রেটিং করুনঃ ,