গত কাল রাতে ( সেপ্টম্বর ২৭, ২০১৫ ) বহু অপেক্ষার “সুপার মুন” আর বাংলায় “দৃষ্টি জুড়ানো পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদ” গত কাল রাতের পূর্ণিমার চাঁদটির অবস্থান ছিল আমাদের পৃথিবীর খুব কাছে তাই আমাদের খোলা দৃষ্টিতে ছিল অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদটি ছিল তুলনায় কিছুটা বড় আর ষ্পষ্ট।
বিধাতার বিশাল আকাশ ছিল মেঘ মুক্ত আর পরিষ্কার, ঠিক সন্ধ্যায় পূর্ব কোণে চোখে পড়ল সেই কাংক্ষিত দৃষ্টি জুড়ানো পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদ, আসলই তো কিছুটা বড় আর ষ্পষ্ট, বেশ দেখলাম সেই প্রিয় চাঁদের গায়ে অনেক ধরণের দাগ বিজ্ঞানের ভাষায় তার অনেক ব্যাখা আছে, দৃষ্টি জুড়ানো পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদ কখনও খোলা মাঠ থেকে, বারান্দা থেকে, কখনও ছাদ থেকে একজন ক্ষণিকের আকাশ পর্যবেক্ষণকারীর মত তার গতি পথ পর্যবেক্ষণ করতে থাকলাম মুক্ত আকাশে। প্রথমের পূর্ণ গোলাকার পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদটিকে মনে হচ্ছিল স্বর্ণ দিয়ে বাঁধানো এক দম ঝক ঝকে আলো ছড়ানো, যা ছড়িয়েছিল মাঠে, নদীতে সারা বাংলায় সেই সাথে বিশ্ব জুড়ে। পর্যবেক্ষণ করতে করতে এক সময় লক্ষ্য করলাম যেন আকাশের রানী সেজে দৃষ্টি জুড়ানো প্রিয় চাঁদটি ঠিক মধ্য আকাশে তার পরে ধিরে ধিরে পশ্চিমাকাশে তখন তাকে কিছুটা লালচে থেকে আরও লালচে রঙ বরণের দিকে।
প্রায়ই ঘটে যাওয়া মহাজাগতিক বহু ঘটনাই আমাদের জানার বাইরে থেকে যায় আর যা লক্ষ্য করি বা অবগত হই তা অতি অতি ক্ষুদ্র কণা তার পরেও আকাশে মেঘের খেলা, সূর্যের উদয়, অস্ত যাওয়া, নূতন চাঁদ দেখা, পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদ দেখা, কখনও বা সূর্য-চন্দ্রের পূর্ণ বা আংশিক গ্রহন বা গ্রাস, আবার কখনও অসংখ্য নক্ষত্র রাজির দিকে তাকিয়ে থাকা, ছায়া পথের দিকে যদি সুযোগ মিলে ধুমকেতুর দিকে আর দিনের আলোতে বিশাল আকাশ কখনও মেঘে ঢাকা, কখনও নীল আকাশে।
জানা ছিল না অনেক কিছু বাদ দিয়ে কেনই বা কিসের আকর্ষনে সারা বিশ্বজুড়ে শখের আকাশ পর্যবেক্ষণকারীদের মত আমিও পর্যবেক্ষণ করলাম দৃষ্টি জুড়ানো পূর্ণিমার প্রিয় চাঁদটিকে !!
( এই সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালো লাগা নিয়েই আমাদের জীবন।)
তারিখঃ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,