দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ১৫ দিন আজ। এরই মধ্য একের পর এক ইউক্রেনীয় শহর গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। হামলা মোকাবিলা করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্যাংক ও কামান ধ্বংস, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে রাশিয়ার। সব মিলিয়ে ১৪ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়েও এখনো ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। উল্টো বিরাট ধাক্কা খেল পুতিনের সেনা দল।
আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এসব খবর জানিয়েছে দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টস। গণমাধ্যমটির টুইটার পেজেও এটি শেয়ার করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাদের দাবি, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩৫ রুশ ট্যাংক, ১ হাজার ১০৫ সাঁজোয়া গাড়ি, ১২৩ কামান, ২৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ২টি জাহাজ, জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাংক ৬০ হাজার ৫২৬টি যানবাহন, ৮১টি হেলিকপ্টার ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনে আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। তখন দেশটির রাজধানী কিয়েভ অভিমুখী ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার সামরিক বহরের ট্যাংকে থাকা সেনারা ঠান্ডায় জমে মারা যেতে পারেন। একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশনের ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের নাম গ্লেন গ্রান্ট। তিনি নিউজউইককে বলেন, যদি ইঞ্জিন না চলে, তাহলে সামরিক বহরে থাকা ট্যাংকগুলো রুশ বাহিনীর জন্য বড় বড় রেফ্রিজারেটরে পরিণত হবে। গ্লেন গ্রান্ট আরও বলেন, ঠান্ডায় জমে মৃত্যু এড়াতে রুশ সেনারা ট্যাংক থেকে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তাঁরা হাঁটতে শুরু করতে পারেন। একই ধরনের আশঙ্কার কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কেভিন প্রাইস। তাঁর ভাষ্য, তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলে রাশিয়ার ট্যাংকগুলো ৪০ টন ফ্রিজারে পরিণত হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ মার্চ ১০, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,