১০০ বছরেরও বেশি বাঁচেন এরা! রহস্য কী…?? সভ্যতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হাজার জাতি রয়েছে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাদের সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। এসব আদিবাসীদের সামাজিক রীতিনীতি এবং আচার-সংস্কৃতি একেবারেই ভিন্ন একে অপরের থেকে। তেমনই অন্যতম পুরনো এক আদিবাসী জাতি হচ্ছে ব্রুশো। বুরুশো, ব্রুশো বা হুনযাকুট নামেও এরা পরিচিত। ৫০ বছর বয়স তাদের কাছে কিছুই না। এই জাতির বাসিন্দাদের বয়স কেবল একটা সংখ্যা নয়, রহস্য যেন।
একটি অবাক করা গল্প রয়েছে এই বয়স নিয়ে। দেখতে অর্ধবয়স্ক এক ব্যক্তি নিজের পাসপোর্ট দেখাতেই ইংল্যান্ডের হিথ্রো বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে থাকা সকলে চমকে ওঠে। তার নাম লেখা রয়েছে আবদুল মবুদ, বাড়ি পাকিস্তানের গিলগিট বালটিস্তানের হুনযা জেলায়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, পাসপোর্টে তার বয়স উল্লেখ করা ১৬০ বছর যা আপাতভাবে আমাদের কাছে অসম্ভব। চেহারা বা শরীরের গড়ন দেখে তার এই বয়স বোঝা না যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। তবে শেষে আবদুল মবুদ জানান বোঝাতে সক্ষম হন যে সত্যি সত্যিই বয়স তার ১৬০ বছর।
আরো পোস্ট- নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন…প্রথম থেকেই হোন সচেতন
এই জাতি বাস করে আফগানিস্তান-চীন সীমান্তে অবস্থিত পাকিস্তানের ‘গিলগিট বালটিস্তান’ অঞ্চলে। এই দুর্গম পর্বতবাসীরা হলো পাকিস্তানের সর্বোচ্চ শিক্ষিত বাসিন্দা যাদের সার্বিক স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৯৭ ভাগ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে তাদের বসবাসের পরিবেশ, জলবায়ু আর খাদ্যাভ্যাসই তাদের জন্যে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার পক্ষে সহায়ক হয়েছে। হুনজা উপত্যকা বেশ অনেকটাই দূষণ থেকে মুক্ত। তাই সেখানকার বাসিন্দারা প্রকৃতিকে আপন করে নিয়েছে।
কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ। ফসল ফলানো ও নিজেদের পানের জন্য ব্যবহার করে হিমালয়ের ঠাণ্ডা জল। এদের স্বাস্থ্যরক্ষায় এই জল ও নিজেদের উৎপাদিত ফসলই নাকি আসল চাবিকাঠি। এছাড়া এমন ফলমূল চাষ করা হয় যেগুলো শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা যায় দীর্ঘদিন। এপ্রিকট ফলটি এর মধ্যে অন্যতম যা শুধু যে তাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা নয়, আবার চেহারায় আনে বিশেষ উজ্জ্বলতা।। (অনুষ্মিতা ভট্টাচার্য )
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: এপ্রিল ১০, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,