Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

দিল্লিতে মর্মান্তিক চিত্র শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে (২০২১)

Share on Facebook

শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে মৃতদেহের লাইন, ফ্রিজে বাবার দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছেলে, ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লিতে

চিকিৎসা পেতে প্রথমে হাসপাতালের বাইরে লাইন দিতে হয়েছিল। মৃত্যুর সঙ্গে যখন পাঞ্জা লড়ছেন, তখন হাসপাতালের বাইরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের পরিজনরা। মৃত্যুর পরেও সেই লাইন থেকে নিস্তার পেলেন না দিল্লিতে করোনার কবলে প্রাণ হারানোরা। চিতায় ওঠার জন্যও মাচায় শুয়ে থাকা অবস্থাতেই শ্মশানে লাইন দিতে হল তাঁদের। অতিমারিতে বিধ্বস্ত রাজধানীতে এ বার এমনই দৃশ্যই সামনে এল।

৪০ ডিগ্রির উপরে হাঁসফাঁস করা গরমে মঙ্গলবার দিল্লিতে কী দৃশ্য ধরা পড়ল? সুভাষনগর শ্মশানে টিনের চালের নীচে সারি সারি চিতা জ্বলছে। মিহি ছাই উড়ে এসে পড়ছে পাশের চাতালেও। আর খাঁ খাঁ রোদে তেতে ওঠা সেই চাতাল ধরেই এগিয়েছে মৃতদেহের সর্পিল রেখা। এক ঝলক তাকালেই মাচার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ১৫-২০টি দেহ চোখে পড়তে বাধ্য। পাশের উঁচু বাঁধানো জায়গায় ঘি এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বসে রয়েছেন পরিজনরা। এক দু’ঘণ্টা নয়, ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা বসে রয়েছেন কেউ কেউ। যে প্লাস্টিকের থলিতে মৃতদেহ মোড়া রয়েছে, তার উপর নাম, নম্বর লেখা থাকায় হাতছাড়া হওয়ার ভয় নেই। তাই একটানা বসে না থেকে বাইরে থেকে মাঝেমধ্যে পোড়া দেহের গন্ধ এবং ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে আসছেন অনেকে।

কিন্তু বাইরে বেরিয়েও যে প্রাণভরে শ্বাস নেবেন তার উপায় নেই। সেখানেও মৃতদেহ নিয়ে সারি সারি অ্যাম্বুল্যান্স এবং গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখনও ধাক্কা সামলে উঠতে না পারা কয়েক জন ফোঁপাচ্ছেন। কোনখানে দাঁড়াবেন বুঝতে পারছেন না। তাতে বাকিরাও রীতিমতো অপ্রস্তুত। এমন সময় বেরিয়ে এলেন শ্মশানের এক কর্মী। কড়া স্বরে বললেন, ‘‘অপনা অপনা ডেড বডি উঠাও অউর উধর লাইন মেঁ জা কে খড়ে হো জাও।’’ তাতে প্লাস্টিকে মোড়া বাবার দেহের উপর চন্দনকাঠ সাজাতে গিয়ে থতমত খেয়ে গেলেন এক মহিলা। কোনটা নাভি আর কোনটা বুক, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তাঁকে ধমক লাগালেন অন্য এক শ্মশানকর্মী। তাতে ফুঁপিয়ে উঠলেন ওই মহিলা। কান্না চাপতে চাপতে বললেন, ‘‘বাবার মুখটা পর্যন্ত দেখতে পাইনি।’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
তারিখ: এপ্রিল ২৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ