কেউ আইন লঙ্ঘন করলে পুলিশ বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও তারপরে প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করতে পারে। যদি কোনো লঙ্ঘন না ঘটে বা কোনো দাঙ্গা না হয়, তবে কোনো প্রাণঘাতী গুলি (লাইভ বুলেট) ব্যবহার করা যাবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রাণঘাতী গুলি ছোড়া বন্ধ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়কের মুক্তি নিয়ে করা রিটটি আজ রোববার কয়েক দফা পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনের মৌলিক দিক ও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পুলিশের কাজ করা অপরিহার্য।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রিটের ওপর গত ২৯ ও ৩০ জুলাই শুনানি হয়। আগের ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে পর্যবেক্ষণসহ রিটটি খারিজ করে আজ আদেশ দেওয়া হয়।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। মানবজীবন সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হওয়ায় মানুষের জীবন ও মর্যাদা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় হলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বল প্রয়োগ করতে পারে। দায়িত্ব পালনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মানবমর্যাদাকে সম্মান-সুরক্ষা করবে, সব ব্যক্তির মানবাধিকার বজায় ও সমুন্নত রাখবে।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ০৪, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,