যাদের সামর্থ আছে আয় অর্জনের তারা কম বেশি আয় অর্জন করতে পারে কিন্তু অনেকের দান করার সামর্থ থাকালেও সবাই দান করতে পারে না।
দানের বিপরীতে কোন স্বার্থ থাকতে পারে না যদি থাকে তবে তা হয় ধার বা ঋণ দেওয়ার সামিল তাই বিশেষ স্বার্থ আড়ালে রেখে দান করার অর্থ হলো দানকারীকে ঋণ-গ্রস্থ করা।
যে আয় বৈধ ও কষ্টের মাধ্যমে কেবল সেখান থেকে দান করার কথা ভাবা যায়, কাড়ি কাড়ি অবৈধ ভাবে আয় করে সেখান থেকে অনেকেই গরীব জনগনকে ও ধর্মীয় উপাশানালয়ে, সামাজিক প্রতিষ্ঠনে অর্থ কড়ি দান করে থাকে, এই সব দানের কোন মূল্য থাকার নয় বা দানকারী দানবীর হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না।
কাকে দান করা হচ্ছে এটিও একটি বিবেচনার বড় বিষয়, যে কেউ দান পাওয়ার যোগ্যও নয়। যার মনে সংঙ্কির্নতা থাকে না সেই কেবল দান করতে এবং গ্রহন করতে পারে।
সবারই হৃদয় আছে তবে সবাইকে যেমন হৃদয় দান করা যায় তেমন সবার হৃদয়ও গ্রহন করা যায় না, ভালোবাসার ক্ষেত্র বলতে শুধু মাত্র একজনের হৃদয়কে বুঝায়। ভালোবাসার পাত্র একজনকেই হৃদয় দান করে যদি ভুল পাত্র নির্বাচন করে তবুও সে একজনকেই হৃদয় দান করে তেমন ভাবে যে অন্য পাত্রের হৃদয় গ্রহন করে সে শুধু এক জনের কাছ থেকে হৃদয় গ্রহন করে।
দান বিষয়টি সকল কিছুর উর্ধ্বে, সকল সংঙ্কির্নতার উর্ধ্বে। আর্থিক জগতে অর্থ কড়ি দান করার পরে দানের কথা যে আর মনে রাখে না সেই প্রকৃত দানকারী। একই ভাবে ভালোবাসার ক্ষেত্রে হৃদয় দান করার পরে যে আর লাভ-ক্ষতির কথা ভাবে না, ভাবনায় আনে না, সেও একজন প্রকৃত হৃদয় দানকারী।
তারিখঃ অক্টোবর ০৯, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,