দিন যায়, হারায় সময় প্রহর
ক্ষয়ে যায় তারুণ্য, উচ্ছ্বাস
নিজ সৌন্দর্য, সুখ স্বপ্ন-মালা।
এক পথে যাত্রা শুরু করে
অবশেষে অন্য পথ ধরে হাঁটা এটাই জীবনের ধারা।
জীবনের সব আশা বাসনা ধুয়ে মিটিয়ে
এলো এক অন্য জীবন সময়ের সাথে সময়ের কেবলি ঘর্ষণ,
তাই তো-
মাঝে মাঝে দেখা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক
অফিস করিডোরে, লিফটে, অফিস প্রাঙ্গণে
অফিস ডেক্সের কাছে ও পাশে, কারণে বা অনুছলে!
সঙ্গতই সমাজ বলয়ে থেকে শুধু কুশল বিনিময়ের বৃত্তে
কেটেছে বছর এভাবেই।
“কেমন আছেন!”
সেই না হারানো সুর, খুব মিহি টানে
নানান কথা বলা হয়ে যায় ঐ দুইটি শব্দে
মহা-কাব্যে যে কাহিনী রচিত থাকে
তা যেন ঐ দুই শব্দে।
সমাজ নীতি ভাঙ্গা, প্রথা ভাঙ্গা কত যে কঠিন এ প্রাচীর
ভেবেছি, হিসাব কষেছি বহু
হিসাব মিলে নি আর!-
তবুও যদি জানতে চাইতে
মলিনতা কেন জমেছে তোমার সজীব চেহারায়
ঘোলা চোখে কেন তুমি এতো উদাসিনতায়
হাসি না কেন বহু যুগ প্রাণ খুলে
মন কেন উঠে না তোমার উচ্ছ্বাসে দুলে!
কালো চুলের মধ্যে এতো কেন পাকা
কপালে কেন এতো ভাজ রেখা আঁকা!
মনে কেন এতো হতাশার ছাপ
কেন এতো ক্লান্তি কেন অনুতাপ!
আরও যদি বলতে
ঘরের শান্তি ভেঙ্গো না কখনও
তৈরী করতে দিয় না কোন অবাঞ্চিত প্রশ্ন!
সন্দেহ অবিশ্বাকে দিও না আশ্রয়
যেখানে সুখ শান্তিতে ছিদ্র হয়।
নিজের কথা যদি বলতে
যাচ্ছে দিন কেটে ভালো এই তো আছি দিব্যি বেশ
পেয়ে হারায়ে জীবন, কিছু তো থাকে জীবনে অবশেষ।
থাক, এই সব কল্প-কথা, জরুরী একটা কথা বলি
পুরানো দিন কিন্তু ফিরানো যায়
একদিন সময় বের করে রেখ বড় জোড়
দুই এক ঘন্টা।
দূরের কোন রেস্তরায়
মুখোমুখি বসে সেরে নেওয়া যায়
বাকি কথার কিছু কথা,
পরাতন কথার প্রসঙ্গ না তুলে
সামনে দিনে এগিয়ে যাব কি ভাবে
নিজ নিজ পথ ধরে।
বিদায়ের সময় একটু কষ্টের সঞ্চার হলেও
হোক-
তা না হয় ডুবিয়ে রাখবে
আমাদের ভিন্ন রকম এক জীবনে
এমন ভিন্ন রকম জীবন কত জনই বা পায়
ডুবে থাকার নিরাপদ আশ্রয়ে।
কখনও মন ক্লান্ত হলে
একটি ডুবে থাকার নিরাপদ আশ্রয়ের খুব প্রয়োজন।
চলমান জীবনে যদি একটু ফাঁকিও দেওয়া হয়
প্রিয়জনদের আড়ালে
কি এমন ক্ষতি তাতে!
খুব কি ক্ষতি হবে আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবেন!!
তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,