প্রতি বছরেই ২৭ শে আগস্ট বা ১২ই ভাদ্র প্রিয় কবির চির বিদায়ের দিনটি আসার আগেই কেন জানি প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বড় মনে পড়ে আর তখনই হাতে সময় থাকলে কবিকে নিয়ে নানা কথা লিখের চেষ্টা করে যেতাম। প্রিয় কবিকে যে কত নামে ডাকি তার কি কোন হিসাব করা যায় ! তিনি যে আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, গানের কবি, প্রিয় সুরের কবি, প্রতি সেকেন্ডের কবি !
কবি আমাদের প্রতি সেকেন্ডের তাই কবি কোন উপলক্ষ ছাড়াই তিনি অন্তর মনে প্রতি সেকেন্ডে, প্রতি সেকেন্ডে আছেন অন্তর জুড়ে।
বিখ্যাত লাইন দুইটি নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা হলো তাই কিছু কথা লিখা!
তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু, আর আমি জাগিব না,
কোলাহল করি’ সারা দিনমান কারও ধ্যান ভাঙিব না।
………………..নিশ্চল নিশ্চুপ
আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধুর ধূপ।
আমাদের প্রাণের কবি, আমাদের জাতীয় কবি, আমাদের বিদ্রোহী কবি, আমাদের দুখু মিয়া আমাদের কত নামের কিন্তু এক কবি, যাকে কখনো বিভক্ত করা যায় নি সীমান্ত রেখা বা কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে, তিনি বাঙ্গালীর মনে অভিন্ন ও এক।
বড় অভিমান করে হয়তো কবি লিখেছিলেন –
” তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু, আর আমি জাগিব না,
কোলাহল করি’ সারা দিনমান কারও ধ্যান ভাঙিব না।”
কিন্তু আমরা কবির এই অভিমানি কথাকে সত্য হতে দেই নি। কথাটি বেশ শক্ত ভাবে বলা যায়। কবি কি আমেদের মাঝে জেগে নেই। আমরা কি কবিকে প্রতি ক্ষণে জাগিয়ে তুলছি না। কবি কোথায় জেগে নেই !! কবি আমাদের মাঝে জেগে আছে, জেগে থাকবেন হাজার হাজার বছর ধরে।
তিনিই আমাদের শিখিয়েছেন মা কখনও কখনও মিছে কথা বলেন
” হয়নি সকাল, ঘুমো এখন” মা বলবেন রেগে।
বলবো আমি, “আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাকো,”
আমাদের মা তো কখনও কথনও বলেন “দেখিস ঠিক একদিন আমি চলে যাব।” আমাদের মা কি কখনও আমাদের ছেড়ে চলে যান ! না, যান না। ঠিক তেমনি কবি জেগে আছেন, আমাদের কবি আমাদের মাঝেই আছেন, জেগে আছেন।
কোলাহল করে সেই দিনের মত কবি তো আমাদের ধ্যান ভাঙিয়ে চলছেন প্রতি দিন ক্ষণ, প্রতি দিন।
” ………………..নিশ্চল নিশ্চুপ
আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধুর ধূপ।”
তবে কবি নিজ ভবিষ্যৎ কে ষ্পষ্ট করে দেখেছিলেন যা অন্য কেউ আর দেখেছিল বলে মনে হয় না। বেশ আগে ভাগেই জেনেছিলেন ১৯৪২ সাল থেকে তিনি থাকবেন
” ………………..নিশ্চল নিশ্চুপ”
কবি জানতেন ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ” আপনার মনে পুড়িব একাকী গন্ধবিধুর ধূপ।” নিজে একা একা পুড়বেন গন্ধবিধুর ধূপের মত।
নোট : কবির ছবি নেট থেকে সংগ্রিত।
তারিথ : আগষ্ট ২২, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,
” তিনি যে আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, গানের কবি, প্রিয় সুরের কবি, প্রতি সেকেন্ডের কবি !”
সুব সত্য কথা, তিনি আমার চলার পথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমি আজ একা একা চলতে শিখেছি, তেমনি ভাবে তিনি অনেক মানুষকে একজন সঠিক মানুষ হিসাবে চলার পথ দেখিয়েছেন। আমাদের আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবির প্রতি আমাদের অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না –
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!
আমি চির-বিদ্রোহী বীর –
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
ভাই মালেক, আপনার লেখা কবিতাটি আমার খুব ভালো লেগেছে, এখন দেখছি আপনি অনেক উন্নত মানের কবিতাও লিখতে পারেন।
হায় হায় গুগলে সার্চ দিয়ে দেকি এতো আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতার লাইন ! :dance:
এই জন্য বলি কপি পেষ্ট প্রথার বিলুপ্তি ঘটানো প্রয়োজন তা না হলে এ জাতি মেধা শূণ্য হয়ে যাবে। অবশেষে নেটের মজমজ মজা ছেড়ে সবাইকে আবার মাটিতে, কলাপাতায় কিম্বা পাথরে খুদাই করে লিখতে হবে। অথবা গাছের ছালে কিম্বা বৃক্ষের পাতায়।
নজরুলের ইসলামি গানের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা আজও রয়ে গেছে।
চমৎকার পোষ্ট।