এএফপি ইস্তাম্বুল
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তবে সময় গড়ানোয় তাঁদের বেঁচে থাকার আশা কমছে। এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘ বলেছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হতে পারে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও চিকিৎসদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৫৪৭ জন। ফলে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৭৯ জনে।
ভূমিকম্পের জেরে দুদর্শায় পড়েছেন তুরস্ক ও সিরিয়ায় বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ। দেশ দুটিতে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারসহ জরুরি নানা পণ্যের সংকট। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকাগুলোতে আট লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সংকটে রয়েছেন। বিপত্তি আরও বাড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা। এতে ভূমিকম্পের কবল থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা যেমন কষ্টে রয়েছেন, তেমনই বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজে।
তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ওই অঞ্চলে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশ পরিদর্শন করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণসহায়তার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
তিনি গতকাল বলেছেন, এই দুর্যোগের মাত্রা এবং তা মোকাবিলায় যে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে, সেটা নজিরবিহীন। তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে মোট মৃত্যু বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি হবে।
মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, কত মানুষের মৃত্যু হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ, ধ্বংসস্তূপগুলোতে এখনো খোঁজ চালিয়ে যেতে হবে। তবে আমি নিশ্চিত, মৃত্যুর সংখ্যাটা দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হবে।’
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,