Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

তালেবান ও আল-কায়েদা সম্পর্কের কী হবে (২০২১)

Share on Facebook

বিবিসি অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মোজাহিদুল ইসলাম মণ্ডল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ের সঙ্গে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকার গঠন করেছে তালেবান। দুই দশক পরে এই গোষ্ঠীর আবার ক্ষমতায় ফেরার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের হওয়া শান্তি চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী আল-কায়েদা ও আইএসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা তালেবানের। তবে তারা যে মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে পশ্চিমারা। এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, দীর্ঘদিনের মিত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের কী হবে?

একসময় তালেবানের বশ্যতা স্বীকার করেছিল আল-কায়েদা। ১৯৯০-এর দশকে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কাছে এই বশ্যতা স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন সময় এ প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। আল-কায়েদার পক্ষ থেকে বারবার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও তালেবান প্রকাশ্যে এটা কখনো স্বীকার করেনি।

আরবিতে একটি শব্দ আছে ‘বেয়াহ’। এই শব্দের অর্থ হলো, আনুগত্য প্রকাশ করা। যেকোনো উগ্রবাদী সংগঠনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই বেয়াহকে। এর মাধ্যমে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আর দুই গোষ্ঠীই একে অপরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে। আর এই আনুগত্য ভেঙে ফেলাকে বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলেছে আল-কায়েদা। তারা তালেবানের প্রতি সব সময়ই আনুগত্য প্রকাশ করে এসেছে। তালেবানের নেতৃত্ব পরিবর্তনের পরও সেই নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এসেছে তারা। ধারণা করা হয়ে থাকে, এই বেয়াহর কারণে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন সরকারের হাতে তুলে দেননি মোল্লা ওমর। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ২০ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে এই গোষ্ঠীকে।

এই বেয়াহ ভাঙার একটি বড় উদাহরণ হলো নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইরাকে আল-কায়েদার সহযোগীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে। সেখানে সংগঠনটি ভেঙে যায়। এরপর আইএসের উত্থান হয়। এই আইএস এবং আল-কায়েদা এখন একে অপরের ঘোর শত্রু। আর এই আইএসের শাখা হলো ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএস-কে)। সেই আইএস-কে আফগানিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

তালেবানের প্রতি শুধু আল-কায়েদার আনুগত্য রয়েছে, এমনটা নয়। পাকিস্তানি তালেবানও একসময় আফগান তালেবানের প্রতি অনুগত ছিল। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আবারও সেই আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তানি তালেবান।

সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে এই সংস্কৃতি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। ২০১১ সালে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর নেতা হন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। তিনিও আল-কায়েদার পক্ষ থেকে তালেবানের প্রতি এই আনুগত্য বজায় রেখেছেন। ২০১৪ সালে আইএস যখন সিরিয়া ও ইরাকে তথাকথিত খেলাফত ঘোষণা করে, তখনো বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন জাওয়াহিরি। মোল্লা ওমর মারা যাওয়ার পর তালেবানের নেতা মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মনসুরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন জাওয়াহিরি। মোহাম্মদ মনসুরও আল-কায়েদাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে মার্কিন হামলায় মনসুর মারা যাওয়ার পর হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা হন। এরপর আর বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসেনি। আবার এটাও সত্য যে সশস্ত্র সংগঠন দুটি একে অপরকে অস্বীকারও করেনি।

আফগানিস্তানের মসনদে বসার পর তালবান এখন দুটি পথে পরিচালিত হচ্ছে। তারা আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তার কথাও বলছে।

আল-কায়েদার পক্ষ থেকে অভিনন্দনবার্তা দেওয়া হয়েছে তালেবানকে। একই সঙ্গে আখুন্দজাদাকে নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আল-কায়েদা। যদিও তালেবান এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তবে ওসামা বিন লাদেনের একসময়ের সহযোগী আমিন আল-হক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার এখনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে আল-কায়েদার। আর হাক্কানি নেটওয়ার্ক এখন তালেবান সরকারের অংশ।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে হওয়া শান্তি চুক্তিতে তালেবান সম্মত হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আল-কায়েদাসহ কোনো সন্ত্রাসী বা উগ্রবাদী সংগঠন তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। এরপর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর একই ধরনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে তালেবান। যদিও আল-কায়েদাকে কখনো প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেনি তারা। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আল-কায়েদার মনোভাবের বদলও হয়নি।

ফলে এখন এক বড় দ্বিধায় তালেবান। কারণ, একদিক থেকে তাদের স্বীকৃতি পেতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। অপর দিকে ২০ বছরের বেশি সময়ের মিত্র আল-কায়েদাকে ত্যাগ করা কঠিন তাদের জন্য।

বিবিসি অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মোজাহিদুল ইসলাম মণ্ডল

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ০৯, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ