তাজ-মহলের আড়ালের কিছু কথা-২
মুঘল সম্রাট শাহ জাহান – যার অর্থ হল সারা দুনিয়ার মালিক তাঁর প্রিয়মতা স্ত্রী সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলকে চির তরে হারানোর মধ্য দিয়ে তাঁর সীমাহীন বেদনাকে স্থাপত্য শিল্পের মধ্যে প্রাকাশ করেছেন। ছবিটিতে জগৎ বিখ্যাত প্রেমিক যুগলের সমাধী
( ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত) মমতাজ মহলের কবরটি মহলের প্রধান গম্বুজের ঠিক নিচে, শাহ জাহানের কবরটি তার পাশে – এটা ছিল শাহ-জাহানের ইচ্ছা বা পাশাপাশি কবর দেওয়া হলে নিয়ম ছিল যে যিনি আগে মারা যাবেন তার কবর থাকবেন মাঝ খানে আর যিনি পরে মারা যাবেন তাঁর কবর এক পাশে এই নিয়ম অনিযায়ী শাহ জাহানের কবরটি মহলের প্রধান গম্বুজের মধ্য স্থল থেকে পাশে এবং শাহ-জাহানের কবরটি কিছুটা উঁচু ও বড় আকারের এবং মুঘল রীতি অনুযায়ী তাঁর কবরের উপরে একটি কলমের বাক্স।
বেশ কাছাকাছি থেকে জগৎ বিখ্যাত প্রেমিক যুগলের সমাধী ( ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত) মমতাজ মহলের কবরটি মহলের প্রধান গম্বুজের ঠিক নিচে, শাহ জাহানের কবরটি তাঁর (মমতাজ) পাশে।
সাধারণ দর্শকের জন্য মহলের প্রধান গম্বুজের নিচে যেখানে প্রেমিক যুগলের সমাধী সেখানে বেশ কড়াকড়ি ভাবে ক্যামেরার ব্যবহার বা ছবি তোলা নিষিদ্ধ তবুও তাজ-মহলকে জানার এক অদম্য ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে না পেরে নিয়ম ভংগ করে সমাধীর একটি মাত্র ছবি তোলা। ( ছবিটি ২০১২ সালে আগ্রা ভ্রমণের সময় নিজ হাতে তোলা। ) এই ছবিটির সাথে শুধুমাত্র ঝাঁরল বা ঝুলন্ত বাতিটির মিল পাওয়া যায়। আমরা দেখতে পেয়েছি সমাধী স্থলটি অন্ধকার শুধু মাত্র ঝাঁরল বা ঝুলন্ত বাতিটিতে সামান্য আলো ছিল,
অনেক দূর থেকে বুঝা যায় যে প্রেমিক যুগলের সমাধী স্থলটি ভু-পৃষ্ট থেকে অনেক উঁচুতে সত্যই কী প্রিয়মতা স্ত্রী সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলকে ভু-পৃষ্ট থেকে অনেক উঁচুতে সমাহিত করা হয়েছিল ১৬৩১ বা ১৬৩২ সালে !! উত্তরটা বেড়িয়ে আসে যে আমরা ছবিতে জগৎ বিখ্যাত প্রেমিক যুগলের সমাধী ( ( ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত) মমতাজ মহলের কবরটি ও শাহ জাহানের কবরটি দেখলাম আসলে তা লোক দেখানো বা স্থাপত্য শিল্পের কারণে বা তাজ-মহলের আরও গুরুত্ব বাড়াতে প্রেমিক যুগলের সমাধী স্থলটি ভু-পৃষ্ট থেকে অনেক উঁচুতে আসলই যা প্রেমিক যুগলের সমাধী নয়।
প্রেমিক যুগোলের কবরে প্রধান গম্বুজের ঠিক নিচের প্রবেশ মূখ নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আবারও কড়াকড়ি ভাবে দেহ তল্লাশী
এটি আসল সমাধীর ( ( ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত) ছবি যা তাজ-মহলের মূল ভবনের নিচে ভূ-পৃষ্ট বরাবর বা মাটি লেভেল বরাবর – এখানেই জগৎ বিখ্যাত প্রেমিক যুগলকে সমাহিত করা হয়। মমতাজ মহলকে এখনে সমাহিত করেন সম্রাট শাহ জাহান আর সম্রাট শাহ জাহানকে এখানে সমাহিত করেন তাঁদের পুত্র সম্রাট মহি-উদ্দিন মোহাম্মদ আরংগোজেব।
এক কথায় তাজ-মহলকে বলা হয় একটি রত্নের বাক্স, আর মূলবান রত্ন ও দামী পাথর সমুহ সংগ্রহ করা হয়েছিল ভারতের রাজ-স্থান, পান্জাব, চীন, তিব্বত, আফগানিস্থান, শ্রীলংকা, পাকিস্থানের বেলুচিস্থান, আরব দেশ সমূহ, সিরিয়া ও ইরান থেকে।
পাথরের নক্সা সমূহ ও নানান রঙের পাথরের মিশ্রন সমূহ ইতালীর Pietre Dura নামে এক শিল্প কৌশলের মাধ্যমে করা হয়।
Pietre Dura নামে এক শিল্প কৌশলে যা তাজমহলের সারা গায়ে শোভা পাচ্ছে।
কালের প্রবাহে তাজ-মহল তাঁর সাদা বর্ণের রূপ এখন বিবর্ণের দিকে, হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর উজ্বলতা। ছবিটি তা প্রমান দেয়।
এই পোষ্টের সকল সন্মানিত পাঠকদের কাছে একটি ধাঁধা দেওয়া হলো, তবে সকল সঠিক উত্তরদাতাদের কোন পুরুস্কার দেওয়া হবে না। ধাঁধাটি হচ্ছে এই ছবিটিতে লেখক (রব্বানী চৌধুরী) স্পষ্ট করে লেখককে দেখতে পাচ্ছে ও চিনতে পাচ্ছে, দেখুন তো কোথায় লেখক !! আপনারাও লেখককে দেখতে ও চিনতে পারছেন কি না !!
রেটিং করুনঃ ,