চতুর্মাত্রিকের পরিসংখ্যান মতে আমার এই ব্লগ পোষ্টটি বা লেখাটি শততম ! যখন এ লেখাটি লিখছি তখন ব্লগে দিনে তিন চারটি লেখা আসে তবে মন্তব্য একেবারে নিন্ম মূখিতে অবস্থান নিয়েছে। হয় তো এর পরে লেখাগুলি মন্তব্য শূণ্য হয়ে শোভা পাবে। আর তখনই এই লেখাটি লিখছি যখন জানি এই লেখাটিকে কেন্দ্র করে কেউ অভিনন্দন বা শুভচ্ছে জানাবে না, আর এ সব লেখার বিপরীতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা না আসাটাই ভালো।
একটি কথা আছে, বড় কিছু পাওয়ার জন্য হাত ময়লা করা ভালো, অল্প কিছু পেতে হাত পরিষ্কার রাখাই ভালো, আমিও তাই হাত পরিষ্কার রাখতেই চাই অর্থাৎ লেখায় কোন অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা না আসা।
ব্লগকে প্রাণ-বন্ত রাখতে, মন্তব্য দিয়ে প্রাণ চাঞ্চল্য রাখতে হয় তো আমার নানান কথা বলা হয়েছে কিন্তু বর্তমান ধারা যে দিকে যায় তার গতি পথ বদলানোর সামর্থ কি তৃণ লতার থাকে ! তাই এই সব অনর্থক লেখা, তারপরও চতুর্মাত্রিক কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি যে তারা আমাদের একটি লেখার জায়গা করে দিয়েছেন সেখানে আমাদের মতামত ও আবেগ সেই সাথে অভিজ্ঞতাও লিখে প্রকাশ করে যাচ্ছি সাথে সাথে আমাদের লেখাগুলি নিয়ে নিজ নিজ আর্কাইভও তৈরী হয়ে যাচ্ছে।
ব্যক্তিগত ভাবে এটি আমার দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ যে, বাংলা ব্লগ গুলির সূচক নিন্ম মূখি, আমি বা আমরা গুটি কয়েকজন যতই আশাবাদী হয় না কেন ! আমরা তো নতুন প্রজন্মের চলার ধারাকে বদলাতে পারব না, এটাই হয় তো যুগের বাতাস যে বাতাস আমরা পেয়েছিলাম ২০১০ এর পরে কিম্বা তারও আগে প্রচন্ড একটি আলোড়ন তুলে- নতুন প্রজন্মের মধ্যে বা প্রবীণরাও নিজের মতামতকে তুলে ধরার জন্য নিজের আবেগকে প্রকাশ করার জন্য কি না আবেগ ও শক্তি কাজ করেছে ! কত না সময় ব্যয় হয়েছে ব্লগে লেখা-লেখির পিছনে, কতই না নিদ্রাকে কমিয়ে দিতে হয়েছিল !
তখন বিশ্বের সারা বাংলা ভাষী ছিল একই বন্ধনে, আমরা যখন রাতের খাবারের আয়োজনে যেতাম তখন ইউরোপে বা আফ্রিকায় থাকা ব্লগাররা ব্লগে আলো জ্বালিয়ে রাখতেন আর যখন আমাদের নিদ্রা যাওয়ার পালা তখন আমেরিকান ও কানাডা প্রবাসীদের একের পর এক পোষ্ট ও মন্তব্য দিয়ে যার যার প্রিয় ব্লগগুলিতে এক জমকালো আয়োজন, আবার দিনের আলো ফুটতে আমরাও হাজির হতে যেতাম এক নেশার খেয়ালে।
আজ এ সবই স্মৃতি কথা।
তারপরও বাংলায় লেখার চর্চা রাখতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কথায় চলতে হবে-
” যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
০৮/৩০/২০১৬
রেটিং করুনঃ ,