তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকালের মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্য–সংবলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।
এরমধ্যে আজ সোমবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানালেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে যা বললেন মাহী
ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি। এরই মধ্যে রোববার রাতে ফাঁস হয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে তাঁর পুরোনো একটি কথোপকথন। এ নিয়ে জানতে সারা দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, সংযোগ পাওয়া যায়নি। অবশেষে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মাহি। কিছুক্ষণ আগে মক্কার হারাম শরিফ থেকে এক ভিডিও বার্তায় সেদিনের জবাব দিলেন এই অভিনেত্রী।
ভিডিও বার্তায় মাহিকে কালো কাপড়ে ঘোমটা ও কালো মাস্কে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আমি মাহি, মক্কার হারাম শরিফ থেকে বলছি। আপনারা জানেন, আমরা ওমরাহ পালন করতে এসেছি। এ জন্য ফোন রিসিভ করছি না। ইবাদত করতে এসেছি, সেটাই ঠিকমতো করতে চাই। যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করেছি সেটা হচ্ছে, আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মানে সেদিন কতটা আঘাত লেগেছে, সেটা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজ আরও একবার আমি বিব্রত হলাম। নিজের কাছে ছোট হলাম, দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম।’
ওই অশালীন ফোনালাপ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ঘটনাটি দুই বছর আগের। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজে থেকে ভেবে দেখবেন, এ রকম ভাষা বা ব্যবহারের প্রত্যুত্তর আমার আসলে কী দেওয়ার ছিল? সেদিন আমার কিছু বলার ভাষা ছিল না। আমি সে জন্য কোনো প্রতিবাদ করিনি। যেভাবে পেরেছি, পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে হয়েছে, আমি পাশ কাটিয়ে গেছি। এটা দুই বছর আগের একটা ঘটনা। বরাবরের মতো আমি আল্লাহর কাছে বলেছি, আমি কষ্ট পেয়েছি। যে কষ্ট দিয়েছেন, সেই ফল তিনি পেয়েছেন।’
পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে মাহি আরও বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে এখান থেকে কথা বলার মানসিকতা আমার নেই। আমি দোষী কি না, আপনারা নিজের জায়গা থেকে চিন্তা করবেন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমাদের ওমরাহ যেন আল্লাহ কবুল করেন। আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,