Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ঢাকায় ইইউর ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউ’র ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরানোর অনুরোধ ড. ইউনূসের (২০২৪)

Share on Facebook

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানিয়েছেন। ইইউ’র কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ অনুরোধ করেন।

সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইইউ’র ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইনট্যারক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কিভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল— কূটনীতিকদের সেসব কথা জানান।

বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে ব্যাপক টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে, তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথাও বৈঠকে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানিয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদেরকে বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনও দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী কোনও দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে।

বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।

সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা। পরামর্শ ও সুপারিশ জানিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তারা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইইউর ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও কার্যালয়ে তার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৮ জন সমবেতভাবে বৈঠক করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগটি এবারই প্রথম।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ সভা বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্কে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাদি, জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এদিকে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে নবগঠিত ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টির’—প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। গত ১৮ নভেম্বর ব্রাজিলের পক্ষ থেকে জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলায় ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি’ নামের এই জোট যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ উদ্বোধনী সদস্যদের একজন হিসেবে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি জোটে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্তিতে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের জোরালো কণ্ঠস্বরের প্রেক্ষিতে ব্রাজিল সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ এ জোটে যোগদান করে।

সূত্র: যুগান্তর
তারিখ: ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ