Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ডেঙ্গুর প্রকোপ (২০২১)

Share on Facebook

প্রথম আলো সম্পাদকীয় পাতা থেকে

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যেও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে এর প্রতিকারে কার্যকর ও টেকসই কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তারা প্রচারে যত উৎসাহী, আসল কাজ করতে ততই নিরুৎসাহী বলে মনে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সকাল আটটা থেকে গতকাল সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৭ জন, এর মধ্যে কেবল ঢাকায় ২১৮ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৫। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁদের খবরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আসে। কিন্তু যাঁরা বেসরকারি ক্লিনিকে বা বাড়িতে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নেন, তাঁদের খবর জানার উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।

২০২০ সালের মার্চের আগে কোভিড-১৯ বা করোনার সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম না। এ কারণে এর সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। সংক্রমণপ্রবণ বলে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতিও ছিল। কিন্তু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে এ রকম নির্লিপ্ততা কোনোভাবে কাম্য ছিল না।

বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে মূলত এডিস মশার মাধ্যমে। বসতবাড়ি, অফিস, রাস্তাঘাট ও জলাশয়ে যে নোংরা-পচা পানি থাকে, সেখানেই এ মশার বিস্তার ঘটে। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য ছিল এডিস মশার প্রজননক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করা। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ ছিটিয়ে মশার বিস্তার রোধ করা যেত। বসবাসযোগ্যতার বিচারে ঢাকার অবস্থান একেবারে নিচের দিকে। এখানকার অধিকাংশ স্থাপনার চারপাশ ঘিঞ্জি ও নোংরা। ফলে সহজেই মশা–মাছি জন্ম নেয়।

ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। তারা যখন পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে, তার আগেই ঢাকা এডিস মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এখন দুই সিটি মেয়র যতই মশকনিধন নিয়ে যত তৎপরতা দেখান না কেন তা কতটা কার্যকর হবে, বলা কঠিন। আবার উত্তরের মেয়রের ‘শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট’ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আহ্বান সম্পর্কে অনেক কাউন্সিলর অজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তঁারা নাকি মেয়রের আহ্বান শোনেননি। মেয়রের আহ্বান শুনতে হবে কেন? এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন আছে কি না, তা দেখার প্রথম দায়িত্ব কাউন্সিলরেরই। প্রয়োজনে তিনি মেয়র ও সিটি করপোরেশনের সহায়তা নেবেন।

এ ব্যাপারে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নিজ নিজ আবাসস্থল ও এর আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব তাদেরই। নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেই আমরা অন্যকে বলতে পারি আপনিও আপনার দায়িত্ব পালন করুন। একজনের উদাসীনতার জন্য দশজনকে বিপদে ফেলতে পারি না। ২০১৯ সালের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যদি আমরা না চাই, তাহলে সিটি করপোরেশন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, বিশেষ করে তরুণদের সম্পৃক্ত করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে হবে। লোকদেখানো অভিযান দিয়ে আত্মসন্তুষ্টি লাভ করা গেলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যাবে না। শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি এক দিনের বা দুই দিনের নয়; এটি বছরের ৩৬৫ দিনই করতে হয়।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ০৩, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪,সোমবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ