জগৎ বিখ্যাত দার্শনিকের কথা দিয়ে লেখাটা শুরু করা যাক, বারট্রান্ড রাসেল সাহেব বলেছেন ” সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভিতর আপন ভুবন তৈরি করে নেওয়া এবং বিপদ কালে তার ভিতরে ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন তৈরি করতে পারে জগতের যন্ত্রনা এড়াবার ক্ষমতা ততই বেশি হয়। “
কয়েক দিন ধরে বারট্রান্ড রাসেল সাহেবর কথা মত একটি নিজের ভুবন তৈরি করার কি না চেষ্টা করে গেলাম। কিন্তু কই !! ডুব দেওয়ার মত সেই আপন ভুবনটি কই !! আর জগৎ যন্ত্রনা এড়াবার সুযোগই বা হল কই !! নিজের ভুবনগুলি বলতে মনে হয় লেখার ভুবন, গানের ভুবন, শিল্প কলার ভুবন, ভ্রমণ কিম্বা আবার অর্থ উপার্জনের মত নানান ভুবনগুলি। কিন্তু, ঐ সব ভুবন তৈরীর স্ব-ক্ষমতা আমার অর্জন হয় নি।
মনে হয় বারট্রান্ড রাসেল সাহেব তখন ব্লগ বিষয়ে জানতেন না, ফেস-বুকের মত সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যম গুলির কথা ওনার জানা ছিল না । আমার মত অনেকেই এখন ব্লগে ডুব দিয়ে থাকার চেষ্টা করেন, তবে কি লেখার ব্লগে ডুব দিয়ে সত্যই জগতের যন্ত্রনা এড়াবার ক্ষমতা অর্জন করেছি ! কিম্বা ফেস বুকে !! এখন হিসাব না করলেও এক সময় লাভ-ক্ষতির হিসাবটা অনেকেই মত আমি নিজেও হিসাব করে ব্লগ বা ফেস-বুকের পুকুর থেকে উঠে ডাংগায় চলে আসব হয়তো।
তবুও অনেক কষ্ট করে প্রিয়, জরুরী এবং সুখকর সময়কে তন্ন তন্ন করে একটা সময় বের করে আনি নিজের দুই কলম লেখা সন্মানিত ব্লগার গনকে পড়ানোর জন্য, অন্যের লেখি গুলি পড়ার জন্য। সন্মানিত অন্য ব্লগারের লেখা পড়ে দুই এক লাইন লিখে মন্তব্য দিয়ে কিছু সময় ডুব দিয়ে থাকার একটি চেষ্টা থাকেই।
লেখার ব্লগকে যদি একটি চলমান নদী মনে করি তবে দেখি যে, নদীর পানির মত অনেকে আসছেন, নিয়মিত থাকছেন, আবার অনেকেই চলে যাচ্ছেন বেশ দ্রুত, কখনো ভরা বর্ষার মত বর্ষাবিস্ফারিত এক নদী, আমার লেখাগুলিও ব্লগে যুক্ত হয়ে তৈরী হোক ভরা বর্ষার মত ভরপুর এক নদী, জগৎ যন্ত্রনার সময়ে, বিপদ কালে নিজের গড়া একটা ভুবনের ভিতরে ডুব দিয়ে থাকা, অনেক ক্ষণ ধরে ডুব দেওয়ার একটি স্ব-ক্ষমতা অর্জন করা।
ব্লগিং রীতিতে অনেকের সাথে আমাদের দেখা হয় না, কথা হয় না, তবে দেখা হয় কথা হয় লেখা-লেখিতে ব্লগ লেখা পড়াতে এভাবেই হয়তো একটি ভুবন তৈরী হয়, ভুবনটি সুখকর হলে সেখানে ডুব দিয়ে সত্য সত্যই সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা এড়ানো যায় আবার কিছু একটা অর্জনও করা যায় হোক তা লেখার স্ব-ক্ষমতা বা লেখা পড়ে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করা আর যদি কিছুই না হয় তখন রবি ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করা যায় – “ পৃথিবীতে কে কাহার। ”
অথবা, যাই ফিরে ঘরে, সংসারে আর অবশেষে সকল ভুবন মালিকের ভুবন থেকে—————।
ছবি: নিজের ক্যমেরায় ধারণকৃত
তারিখ : অক্টোবর ২৯, ২০১৭
রেটিং করুনঃ ,
মন্তব্য করে প্রথম স্থান অর্জন এবং একটি স্বর্ণ পদক লাভের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনি অর্জন করেছেন অনেকেই অর্জন করতে পারে নি, এটাই আপনার আপাতত সাফল্য।
স্বর্ণ পদক পেলে ধন্য, ভাবছি সবগুলি জমা করে এক সময় বিক্রি করে দিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যাবই।
শ্রদ্ধেয় সঞ্চালক সমীপে নিবেদন, ক্যাটাগরিতে “প্রকৃতি” ও “রান্না” যুক্ত করা হোক!!
সাথে “ভ্রমণ” টাও যোগ করা চাই
ধন্যবাদ ক্যাটাগরিতে “প্রকৃতি” এবং “রান্না ও সাজ সজ্জা” যুক্ত করা হয়েছে
ধন্যবাদ ক্যাটাগরিতে “ ভ্রমণ ” বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে
বারট্রান্ড রাসেল আমার একজন প্রিয় লেখক, তার অনেক লেখা পড়েছি
বেশ গুছিয়ে লিখেছেন কী ভাবে সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা এড়ানো যায় ! ভালো লাগলো পড়তে.
খুব বেশি না হলেও বারট্রান্ড রাসেলের বেশ কিছু বই বাংলা অনুবাদে পড়েছি, চমতকার মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।
সাঁতার জানা মানুষের ডুবে থাকাও কঠিন বরং একজন ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করা সহজ!
অসাধারন লেখা প্রিয় রব্বানী ভাই।
ধন্যবাদ।
সাঁতার জানা মানুষের ডুবে থাকাও কঠিন বরং একজন ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করা সহজ!
খুব একটি মূল্যবান কথা বলেছেন।
জগৎ যন্ত্রনা এড়াবার জন্য আমাদের ভালো বই ও লেখার মধ্যে ডুব দিয়ে থাকলে ভালো হয়।
চমতকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আলভী ভাই।
সবার জীবনেই কিছু না কিছু চাওয়া থাকে।
একজন লেখকের জীবনে চাওয়া থাকে, তার নিজস্ব জগতের!
যে জগতে সে সারাক্ষণ ডুবে থাকতে চায়!!
সে জগতে থাকে ওপরে ওঠার একরাশ স্বপ্ন!!
স্বপ্ন না থাকলে যে, সে স্বপ্ন সত্যিতে রূপ পায় না!!
যে স্বপ্ন আপনি রচনা করে চলেছেন, শ্রদ্ধা জানাই সেই স্বপ্নকে!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রব্বানী ভাই!
ভাল থাকবেন সব সময়ের জন্য!!
প্রতিটি মন্তব্যে সঠিক তথ্য তুলে ধরায় আপনার মন্তব্যগুলি এক একটি নক্ষত্র।
” একজন লেখকের জীবনে চাওয়া থাকে, তার নিজস্ব জগতের!
যে জগতে সে সারাক্ষণ ডুবে থাকতে চায়!!
সে জগতে থাকে ওপরে ওঠার একরাশ স্বপ্ন!!
স্বপ্ন না থাকলে যে, সে স্বপ্ন সত্যিতে রূপ পায় না!! “
আমার লেখার চাইতে আপনার মন্তব্যের অর্থ আরও উন্নত স্তরের, অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন আপা।
চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ রব্বানী ভাই।
উৎসাহ জানানো মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যেমন এই লিখালিখির প্রাঙ্গণে কেউ এসে নামবে, ডুব দিবে, কিছু সময় পরে কেউ উঠে চলে যাবে। সত্য কথা বলেছেন। তবু মাঝে মাঝে নিজেকে যাচাইয়ের বাসনা জাগে মনে।
একজন পথের পথিক হয়ে সেই ইচ্ছেতেই এই লিখালিখির প্রাঙ্গণে পা রাখা। খুব ভালো লাগছে এখানে হাটতে, যেন হেটে চলি অবিরাম।
লেখার মূল বিষয়টি তুলে এনেছেন, মন্তব্যে অভিভূত। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।
ডুব দিয়ে অন্য জগতে চলে গিয়ে মনের ভেতর শান্তি আনা যায়, এবং আমার কাছে এটা প্রমানিত। অনেক সময় দেখা গেছে আমার পুরোনো ছবিগুলো নিয়ে দেখতে বসলে ঐ সময়টার আনন্দ বা রোমাঞ্চ আমাকে গ্রাস করে, এমন করে আমি সাময়িক সমস্যা ভুলে যেতে পারি। আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি আমার ভেতর বেশ কিছু জগৎ সৃষ্টি করা আছে।
ডুব দিয়ে অন্য জগতে চলে গিয়ে মনের ভেতর শান্তি আনা যায়, এবং আমার কাছে এটা প্রমানিত। অনেক সময় দেখা গেছে আমার পুরোনো ছবিগুলো নিয়ে দেখতে বসলে ঐ সময়টার আনন্দ বা রোমাঞ্চ আমাকে গ্রাস করে, এমন করে আমি সাময়িক সমস্যা ভুলে যেতে পারি।
সত্যি আসাধারণ একটি মন্তব্য আমি লেখাটিতে যা বলতে চেয়েছি সেই কথাটি অন্য ভাবে প্রকাশ করেছেন আপনি, অসাধারণ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন কামাল ভাই
ফাঁকা একটি মন্তব্যের ঘর ছিল, তাই লাল :rose: :rose: :rose: দিয়ে গেলাম।
আমিতো ভাব ফারুকীর ডুব!!
প্রতিটি মানুষের জন্য, বেচে থাকার ইচ্ছাটা বাচিয়ে রাখার জন্য একটা নেশা থাকা প্রয়োজন
বৈষিক থেকে সৃষ্টিশীল প্রতিটি মানুষ কোথাও না কোথাও ডুবে থাকে।
আমরা না হয় তুবে থাকলাম ব্লগে। :guitar:
” প্রতিটি মানুষের জন্য, বেচে থাকার ইচ্ছাটা বাচিয়ে রাখার জন্য একটা নেশা থাকা প্রয়োজন
বৈষিক থেকে সৃষ্টিশীল প্রতিটি মানুষ কোথাও না কোথাও ডুবে থাকে। ”
কথাগুলির সাথে খুব একমত – সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা এড়ানোর জন্য মনের ভিতর নিজ ভুবন তৈরি করে সেখানে ডুবে থাকা খূব প্রয়োজন আর আমাদের সেই ডুব দেওয়ার জায়গাটি হচ্ছে লিখালিখির মত বাংলায় লেখা মাধ্যম গুলি।