ডলারের বিপরীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দরপতন হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি উন্নত দেশের মুদ্রারও দরপতন চলছে। এবার জানা গেল, ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দর দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। গত মঙ্গলবার ১ ডলারের মান দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ১৯ পাউন্ড। এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে লকডাউন জারির পর পাউন্ডের দর এতটা নেমে এসেছিল।
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বিশ্ব অর্থনীতি যখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তখন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন ধাক্কা দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক মানুষের পক্ষে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। খবর বিবিসির।
সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে—তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে চলেছে। ফলে মন্দার শঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে সেখানে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত মন্দার শঙ্কার কারণে ব্রিটিশ মুদ্রার পাউন্ডের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
পাউন্ডের দরপতনের কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়বে। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি আরও এক দফা বাড়বে। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির খড়্গে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবস্থা ত্রাহি মধুসূদন। পেট্রলপাম্প থেকে জ্বালানি চুরির হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়েই আসবে তাঁদের জীবনে, বিশ্লেষকেরা এমনটাই মনে করছেন।
দ্য ইউএস ডলার ইনডেক্স অনুযায়ী, গত ২০ বছরের মধ্যে ডলারের মান এখন সবচেয়ে বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এ মুহূর্তে ডলারের সাপেক্ষে অন্যান্য মুদ্রার দামের পতনের বহুবিধ কারণ থাকলেও প্রধান কারণ দুটি। এক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পেট্রোলিয়াম থেকে রকমারি পণ্য—সবকিছুরই দাম বেড়েছে। দুই, যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদহার বৃদ্ধি।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ০৭, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,