চীনের বহুজাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা বেশ কিছুদিন ধরেই জনসমক্ষে আসছেন না। খবর বেরিয়েছে, ছয় মাস ধরে তিনি জাপানের রাজধানী টোকিওতে আছেন। বেইজিং প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরপরই তিনি টোকিওতে আত্মগোপনে চলে যান।
জ্যাক মার জাপানে থাকার এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানে অবস্থানরত জ্যাক মা দেশটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রায়ই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে যাচ্ছেন। জ্যাক মার অবস্থান সম্পর্কে জানেন, এমন ব্যক্তিরাই এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টোকিওভিত্তিক সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং আলিবাবা প্রতিষ্ঠার শুরুতে তাতে বিনিয়োগ করা মাসাওশি সোন জ্যাক মার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জাপানে অল্প কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন জ্যাক মা। তিনি থাকছেন গিনজা ও মারুনোচি জেলায়। নিরাপত্তার জন্য তিনি সঙ্গে দেহরক্ষী রেখেছেন। খাবার তৈরির জন্য একজন ব্যক্তিগত পাচক রেখেছেন। জাপানে থেকে জ্যাক মা আধুনিক একজন শিল্প সংগ্রাহক হয়ে উঠেছেন।
জ্যাক মা চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। প্রযুক্তি খাতেও ছিলেন দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী উদ্যোক্তা। কিন্তু বিপত্তি বাধে তিনি যখন চীন সরকারের সমালোচনা শুরু করেন। সরকারের সমালোচনার পর থেকে জ্যাক মার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় বেইজিং। দৃশ্যপট থেকে তিনি আড়ালে যেতে থাকেন।
এ ঘটনার পর থেকে চীন সরকার জ্যাক মার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে শুরু করে। পুঁজিবাজারে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপ করপোরেশনের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছাড়ার ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ দেয় সরকার। এরপর চীনের বেসরকারি খাত নিয়েই কঠোর হয় বেইজিং।
ধারণা করা হয়, চীনের আর্থিক খাতের সমালোচনা করার পর থেকেই জ্যাক মা ও তাঁর প্রতিষ্ঠান সরকারি চাপের মুখে পড়ে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নাক গলায় বেইজিং। জ্যাক মা আড়ালে যান। এরপর প্রকাশ্যে তাঁকে তেমন দেখা যায়নি। যদিও এ ঘটনার আগে বিভিন্ন বড় বড় সম্মেলনে অংশ নিতেন জ্যাক মা।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:নভেম্বর ৩০, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,