কখন একটি শোচনীয় খবর আসে বরং সেই অপেক্ষাতেই থাকতাম একটি শুভ বা ভালো সংবাদের অপেক্ষায় না থেকে, শোচনীয় সংবাদের মধ্যে নিজেকে বরণ করে নিয়ে তা মোকাবেলা করার মত কঠিন কিছু আর মানুষের জীবনে থাকে না। এর মধ্যে একটি প্রকৃত জীবনের স্বাদ পাওয়া যায়, অনেকে বরং ভেঙ্গে পড়ে পঙ্গুত্ব গ্রহন করে আবার অনেকে সকল ধকল সহ্য করে স্বাভাবিক ভাবে এগিয়ে চলেন জীবনের প্রকৃত রূপ উদ্ধার করে।
সবার্ জীবনে যুদ্ধ আসে না এটি ঠিক, অনেকের জীবনে যুদ্ধ করার পরিস্থিতি আসলেও যুদ্ধকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেই পরাজয় বরণ করে। তবে নিজ অধিকার উদ্ধারে জীবন যুদ্ধ এখন যুগের চ্যলেঞ্চ, দিনে দিনে জীবন যুদ্ধ বড় ষ্পষ্ট হয়ে আসছে, যুদ্ধের মধ্য থেকে বেড়িয়ে আসে বীরত্বের জীবন কথা, যেখান থেকে অন্যরাও হয় সঠিক যুদ্ধ জয়ে অনুপ্রাণিত। যেখানে যুদ্ধ করার প্রয়োজন তা এড়িয়ে যাওয়াটা কাপুরুষের কাজ, জীবন যুদ্ধের ক্ষেত্র নির্বাচনই জীবনে বড় কথা।
জীবনে যুদ্ধ করার পরিস্থিতি আসে প্রথমত নিজ পরিবার থেকে দ্বিতীয়ত তা আসে কাছের সমাজ থেকে অথচ এই দুই ভূবনকে আমাদের বড় আপন জানা, জীবন যুদ্ধের সূচনা পর্ব কোথায় ও কি ভাবে লুকিয়ে থাকে তা পূর্বানুমান করা খুব কঠিন, প্রয়োজন প্রতি মূহর্তে সতর্কতা। এই দুই ভূবন আমাদের খুব দূর্বলতম জায়গা বলেই অচমকা আক্রমন আসে কোন কিছু বুঝে নেওয়ার আগেই। সীমান্ত যুদ্ধ আর জীবন যুদ্ধ কোন অংশে কম নয়। সীমান্ত যুদ্ধে পাল্টা আক্রমন না করার অর্থ যেমন পরাজয় বরণ নিজ অঞ্চলের মালিকানা ছেড়ে দেওয়া , জীবন যুদ্ধে অংশ গ্রহন না কারাটাও তেমন পরাজয়।
সমাজে সাম্য বজায় রাখতে, সত্য প্রতিষ্ঠ করতে, কখনও শান্তি বজায় রাখতে জীবন যুদ্ধের বড় প্রয়োজন, এড়িয়ে গেলে সাময়িক শান্তি থাকতে পারে তবে দীর্ঘ দিনের জন্য তা ভয়ংকর রূপ ধারণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেওয়া।
জীবন যুদ্ধ মোবাকেলা করা নিজ বিষয় হয়ে থাকলে জীবনে শোচনীয়তা বরণ করাটাও তবে একই বিষয় হয়, শান্তি বজায় জন্য নিজ অধিকার উদ্ধারে জীবন যুদ্ধকে যে এড়িয়ে যেতে পারে বরং তার জীবন একাধিক বার শোচনীয়তা হানা দিতে পারে। শোচনীয়তা আসলে আক্ষেপ অন্যকে দোষারোপ করা যেমন বৃথা তেমন নিজ অধিকার উদ্ধারে জীবন যুদ্ধকে এড়িয়ে যাওয়াটাও বড় একটি অন্যায়।
তারিখ জুন ০৫, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,