মানুষের জীবনের বাঁকে বাঁকে নানান দুঃখবোধ থাকে, আমারও আছে। কিছু দুঃখবোধ রেখেছে নিজেকে স্থির করে, তেমন উত্তাল ভাবে না চলার বদলে পেয়েছি শান্ত ভাবে চলার গতি। সেভাবেই আমার চলা সংযত রেখেছি যাতে বিশৃঙ্খল হয়ে না পড়ি, সেখানে বরং বড় মাপের ক্ষতি থাকে থাকে অবশেষে পরাজয়। লোভের অনেক ফাঁদ দেখেছি জীবনে আড়ালে যেখানে স্বার্থ ছিল আগাম বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে এনেছি। জগৎ সংসারে অর্থ বিত্ত অনেকের কাছে খুব প্রধান বিষয় অনেকেই অন্ধ হয়ে পড়ে কিন্তু অর্থ বিত্ত তেমন একটা লোভ দেখাতে পারে নি আর নিজেও সে ফাঁদে পা ফেলি নি বিনিময়ে পেয়েছি শান্তি, স্বাধিন ভাবে চলার অধিকার।
দুঃখবোধকে প্রধান্য দিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসকে নির্বাসন দেওয়া জীবনের অর্থের দিক দিয়ে অর্থহিন ও বেমানান। সেই অর্থহিন ও বেমানান জীবনকে বিতারিত করে নিজের একটি জ্ঞান ভান্ডার তৈরী করে সেখানে বসবাস করে শান্তির সন্ধান করি, শান্তি বোধ করি। জীবনের এ এক বড় অর্জন যতই জীবন যাপন কোন এক ভাবে কেটে যাওয়ার মত হোক না কেন ! প্রতি দিন কিছু না কিছু লিখে যাওয়ার মধ্যে যে শান্তি তার মর্ম তারাই বুঝতে পারে না যারা রাত যখন গভীরের দিকে ধাবমান আর তখন ক্রমাগত লিখে যাওয়ার মত স্ব-ক্ষমতা-এটাই এক মাপকাঠিতে “শান্তি”।
জীবনের শুরুটা কোথায় থেকে কোথায় এসে থেমে যাবে তা ছিল না জানা, আঁকা বাঁকা পথ ধরে কখনও উদ্বাস্তের মত। তারমধ্যেও কৌশরে কাটিয়ে রাজ্যহীন একজন প্রিন্সের মত। মনের দিক দিয়ে উদার একজন রাজা। শান্তি মিলেছে বেশ।
নানান মানুষের সাথে ক্রিয়ায়-বিক্রিয়ায় দিনে দিনে মনে ধারণ করেছে নানান জটিলতা, এই সব জটিলতা দূর করে চলার চেষ্টা প্রবল থেকে প্রবল হোক সংঙ্কিন, ক্ষিন বোধগুলি ধুয়ে মুছে যাক।
মনের সংঙ্কির্নতাকে দূরে রেখে যে শান্তি পেয়েছি এটাই হয়তো ছিল জীবনের সার্থকতা, স্বাধিন ভাবে চলা, যতটুকু আছে তাই নিয়ে বসবাস, সুখে থাকার ও শান্তিতে থাকার প্রয়াস।।
এটাই জীবনের পাতা, জীবনের পাতা পড়ার মত স্ব-ক্ষমতা অনেকের নেই তাই তাদের পড়া হয় না জীবনের প্রতি পাতায় পাতায় কী লিখা হচ্ছে প্রতিদিন! জীবন পাতা রচনা করা যেমন অনেকেই জানে না, তাদেরও তেমন পড়া হয় জীবনের পাতা।
একটি ছোট-খাটো মহৎ প্রাণ রচনা করতে পারলে আপনা আপনি রচিত হয় জীবন পাতা আর সময়ও থাকে নিজ জীবন পাতার নানান কথা।
তারিখঃ অক্টোবর ০৪, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,