আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ক্ষমতা দখলের পর ১২০০ সেনা কর্মকর্তাকে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।
রোববার চাঁদপুর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ‘১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই হয়েছিল। সেটি ছিনতাই হয়ে ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসেছিল। সেই বিমান ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক ছিল না- এটি জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল। অথচ এটিকে পুঁজি করে সেই সময়ের স্বৈরশাসক তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সামরিক যেসব অফিসার ছিল- সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রায় ১২০০ সামরিক কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। এটি চরম অপরাধ করেছিল। এটি একটি গণহত্যার সামিল। আমরা মনে করি, ওই সময় যেসমস্ত সেনা কর্মকর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল তাদের স্বজনরা তার যে বিচার দাবি করেছেন তা যৌক্তিক। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।’
বন্দুকের নল দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিল বলে মন্তব্য করেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কখনও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা ছাড়েনি। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর তার পরবর্তী এরশাদ সরকার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ৯৬’ তে তারা একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৬ সালে আবারও ক্ষমতায় আঁকড়ে রাখার জন্য সে সময় তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল।’
সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ অক্টোবর ০৪, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,