সাংবাদিক টিম সেবাস্টিয়ানের উপস্থাপনায় গত বুধবার জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে প্রচারিত টক শো ‘কনফ্লিক্ট জোন’-এ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তাঁদের আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, দুর্নীতি, আল জাজিজার প্রতিবেদনসহ নানা বিষয়। ডয়চে ভেলেতে তাঁদের আলোচনার প্রথম অংশ:
টিম সেবাস্টিয়ান: দুর্বল মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। চলতি মাসে দেশটির ভাবমূর্তি আবারও ধাক্কা খেয়েছে নতুন এক তথ্যচিত্রের কারণে, যেটিতে উচ্চপর্যায়ে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই সপ্তাহে ঢাকা থেকে আমার অতিথি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী কবে দমনপীড়ন চালানোর সত্যতা অস্বীকার করা বন্ধ করবে এবং নিজেদের শোধরাবে? গওহর রিজভী, আপনাকে কনফ্লিক্ট জোনে স্বাগত জানাচ্ছি।
ড. গওহর রিজভী: ধন্যবাদ।
টিম সেবাস্টিয়ান: আপনার দেশ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণে পরিণত হয়েছে, যা আপনার সরকার নিয়মিত অস্বীকার করে আসছে। আপনি একজন একাডেমিক, যিনি কিনা একসময় সত্য নিয়ে কাজ করতেন, এখন কেন এমন এক সরকারের জন্য কাজ করছেন যার মধ্যে এ ব্যাপারে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে?
ড. গওহর রিজভী: মি. সেবাস্টিয়ান, আমার মনে হয় এই প্রশ্নটি আরও স্বচ্ছ করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যখন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছেন, তখন আমার বলতে হচ্ছে, মানবাধিকার বেশ বিস্তৃত অর্থ বহন করা একটি শব্দ।
টিম সেবাস্টিয়ান: আচ্ছা, তাহলে আমি আরও সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করি। আপনার সরকারের বিরুদ্ধে বিনা বিচারে আটকে রাখা, নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস গ্রুপ সাউথ এশিয়া, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আমি এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।
ড. গওহর রিজভী: আচ্ছা, আমি এসব অভিযোগ পুরোপুরি মেনে নিতে পারলে নিতাম। আমি অস্বীকার করছি না যে গুমের কিছু ঘটনা ঘটার দৃষ্টান্ত নেই। কিন্তু আপনি যখন নির্যাতনের কথা বলেন, আমার জানামতে, এ ধরনের কোনো ঘটনার দালিলিক প্রমাণ নেই।
টিম সেবাস্টিয়ান: দ্য ইউএন কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার কিন্তু নিশ্চিত যে নির্যাতনের ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। সংগঠনটি একের পর এক নির্যাতনের ঘটনার কথা জানছে, যা আপনার নিরাপত্তা বাহিনী ঘটাচ্ছে, অথচ আপনি কিনা আমাদের বিশ্বাস করতে বলছেন যে সেসব ঘটনা ভুল।
ড. গওহর রিজভী: আমি এটা অস্বীকার করছি না ও এটাও বলছি না তারা ভুল জেনেছে। তবে আমি বলতে চাই, সরকার এটা জানে যে নির্যাতন অবৈধ ব্যাপার এবং নির্যাতনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। মি. সেবাস্টিয়ান, আমি আপনার প্রশ্ন করার ধরন নিয়ে এ জন্য আপত্তি জানাচ্ছি যে বাংলাদেশে কিন্তু অনেক ভালো ব্যাপারও ঘটেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক চমৎকার উদাহরণ।
টিম সেবাস্টিয়ান: হ্যাঁ, এবং আপনি উন্নয়নের কথা প্রচারে বেশ সফল, যেমন আপনার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং এটা হয়েছে। কিন্তু আমি আপনার কাছে সে কথা জানতে চাচ্ছি না। আমি আপনার কাছে সেসব বিষয়ে জানতে চাচ্ছি, যা আপনার দেশকে ভুল দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যেমন আপনার সরকার দুর্নীতিতে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছে। তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান দেশটিতে দুর্নীতির মাত্রার কথা জানাতে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সরকার শুধু চুনোপুঁটিদের ধরছে। তিনি বলেছেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কার্যকলাপ আমাদের ধারণারও বাইরে। আমরা সেই রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কোনো জোরালো তদন্ত বা কার্যকর আইনি পদক্ষেপ দেখতে পাই না।’ সুতরাং ‘জিরো টলারেন্স’ ব্যাপারটি শুধু প্রতিশ্রুতিই বলে বেশি মনে হচ্ছে।
ড. গওহর রিজভী: ঠিক আছে, আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ৬ থেকে ৯ মাস আগে কিন্তু বিভিন্ন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টির তদন্ত করছে। দিন শেষে আমাদের একটি বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে এবং এটা একটা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আমি বলছি না, আমাদের এই প্রক্রিয়া একেবারে নিখুঁত। আমি এটাও বলছি না যে মাঝেমাঝে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয়াদি বিবেচনায় আনা হয় না। এসব বিষয় সত্য। তবে আমার আপত্তির জায়গাটা হচ্ছে, মি. সেবাস্টিয়ান, আপনি একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক। কিন্তু যে ছবিটি আপনি আঁকছেন সেটা একপক্ষীয়, যা আপনার দর্শককে ভুল বার্তা দিতে পারে।
টিম সেবাস্টিয়ান: আসলে ছবিটা আমি আঁকছি না। আমি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, দ্য কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব কথা বলছি।
ড. গওহর রিজভী: সে ক্ষেত্রে ছবিটিতে ভারসাম্য আনতে দয়া করে আমাকেও বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার সুযোগ দিন।
টিম সেবাস্টিয়ান: হ্যাঁ, আপনি সেটা করছেন। তবে এসব ব্যাপারই কিন্তু একটি হাইপ্রোফাইল ডকুমেন্টারি তৈরির পথ করে দিয়েছে, যা এ মাসে আল–জাজিরা প্রকাশ করেছে। সেখানে আপনার দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিস্মিত হওয়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আর আপনার সরকারের ত্বরিত প্রতিক্রিয়ায় ওই ফিল্মকে মিথ্যা, মানহানিকর ও অপপ্রচার বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আপনারা প্রথমে তদন্ত করার কথা ভাবেনওনি। এটা একটি সৎ সরকারের প্রতিক্রিয়া নয়, তা–ই কি?
ড. গওহর রিজভী: তদন্ত চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে, তবে আন্তরিকতার সঙ্গে আমি আপনাকে বলতে চাই যে ডকুমেন্টারির শিরোনাম ছিল ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’। আর আমাদের বলা হলো যে এতে প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে হওয়া দুর্নীতি প্রকাশ করা হবে। আপনি কি আসলেই বিশ্বাস করেন, ডকুমেন্টারি তা করতে সফল হয়েছে? সেখানে কি এমন কোনো প্রমাণ দেখানো হয়েছে, যেটা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে? সে কারণে আমি মনে করি, সচেতন একাডেমিক ও সাংবাদিক হিসেবে আমাদের পেছন ফিরে তাকিয়ে নিজেদের প্রশ্ন করতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর জড়িত থাকার কী প্রমাণ দেওয়া হয়েছে? তারপরও এই পুরো ডকুমেন্টারিতে শাসনব্যবস্থা কত দুর্নীতিগ্রস্ত তা দেখানো হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
সংযোজন।
টিম সেবাস্টিয়ান: আল–জাজিরা চলতি মাসে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে আপনার দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিস্মিত হওয়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর আপনার সরকার ত্বরিত প্রতিক্রিয়ায় ওই তথ্যচিত্রকে মিথ্যা, মানহানিকর ও অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়েছে। অথচ আপনারা প্রথমে তদন্তের কথা ভাবেনওনি। এটা সৎ সরকারের প্রতিক্রিয়া হয়নি, তাই নয় কি?
গওহর রিজভী: তদন্ত চলছে। তদন্ত করা হচ্ছে। আন্তরিকতার সঙ্গে আপনাকে বলতে চাই, তথ্যচিত্রের শিরোনাম ছিল ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’। আর আমাদের বলা হলো যে এতে প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে হওয়া দুর্নীতি প্রকাশ করা হবে। আপনি কি আসলেই বিশ্বাস করেন যে এই তথ্যচিত্রে তা করা হয়েছে? সেখানে কি এমন একটি প্রমাণও আনতে পেরেছে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যায়? সে কারণে আমি মনে করি, সচেতন একাডেমিক ও সাংবাদিক হিসেবে আমাদের পেছনে ফিরে তাকিয়ে নিজেদের প্রশ্ন করতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার কী প্রমাণ দেওয়া হয়েছে? তারপরও এই তথ্যচিত্রে শাসনব্যবস্থা কত দুর্নীতিগ্রস্ত, তা দেখানো হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
টিম সেবাস্টিয়ান: তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে আল-জাজিরা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দুজন পলাতক আসামির অবস্থান নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছে। দুই আসামির ভাই আপনাদের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এটা আপনাদের জন্য বড় অস্বস্তির, তাই নয় কি?
গওহর রিজভী: অবশ্যই। কিন্তু অন্যদিকে আবার বলছি, আমি সবকিছু ডিফেন্ড করতে যাচ্ছি না। তবে আপনি যেভাবে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, তাতে মনে হয় এটা প্রয়োজনীয়। একজন মানুষকে কি তার ভাইয়ের অপরাধ দিয়ে বিচার করা উচিত? আমার মনে হয়, আমাদের এই প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করা উচিত। এখন সেনাবাহিনীতে থাকা ভাইটি যদি তাঁর ভাইদের বিচার এড়াতে সাহায্য করেন, তাহলে এ অভিযোগ খুবই বৈধ হবে। অথচ যা ঘটেছে, তা এই ভদ্রলোক সেনাপ্রধান হওয়ার বহুদিন আগে ঘটেছে।
টিম সেবাস্টিয়ান: ঠিক আছে। তথ্যচিত্রে জেনারেল আজিজের ভাইদের বিষয়ে বিস্তারিত যা দেখানো হয়েছে, তা দেখুন। জেনারেল আজিজের ভাইদের মধ্যে দুজন—আনিস ও হারিস ১৯৯৬ সালের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এক ব্যক্তিকে হত্যায় অভিযুক্ত হন। তাঁরা দুজনই পালিয়ে যান। আর তাঁদের তৃতীয় ভাই জোসেফও অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং তিনি ১০ বছরের বেশি সময় মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে ছিলেন। তিনি কোন জাদুবলে আজিজ আহমেদ সেনাপ্রধান হওয়ার কিছু আগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান—এটা কীভাবে হলো? এটা কি বাংলাদেশে স্বাভাবিক যে সেখানে রাস্তায় বিরোধীদের ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়?
গওহর রিজভী: মি. সেবাস্টিয়ান, আপনি এমন নিশ্চিত ভাব নিয়ে কথা বলছেন, তা আমাকে অবাক করছে। আপনি সেনাপ্রধানের নিয়োগ ও তাঁর ভাইয়ের মুক্তির বিষয়টি একই সঙ্গে জড়াচ্ছেন। আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই…(এ সময় টিম সেবাস্টিয়ান বলেন, অবশ্যই একই ঘটনা)। না, না, না, না…
টিম সেবাস্টিয়ান: আমার কথা হলো, ঠান্ডা মাথায় হত্যার জন্য ক্ষমা পেতে একটি ভালো যোগাযোগ থাকতে হবে, তাই না?
গওহর রিজভী: আমাকে প্রকৃত তথ্যটা বলতে দিন। আপনি তারপর দয়া করে উপসংহার টানুন। তাঁর যে ভাইকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি প্রায় ২০ বছর কারাগারে ছিলেন। আমাদের দেশে একটা আইন আছে, একটা নির্দিষ্ট সময় কারাভোগের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্যারোলে মুক্তি বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেতে পারেন। এসব কিছু অনেক আগে ঘটেছে। তাঁর ভাই সেনাপ্রধান হয়েছেন, সেটা আলাদা ঘটনা। এই মানুষটি ৩৫ বছর সশস্ত্র বাহিনীতে ছিলেন, একেবারে ক্লিন রেকর্ড নিয়ে কাজ করেছেন। তাহলে আমরা কেন এ দুটি ঘটনাকে একসঙ্গে জড়াব এবং কুৎসা রটাব? দুই ঘটনার মধ্যে ছয় মাসের পার্থক্য।
টিম সেবাস্টিয়ান: ওকে, ঠিক আছে ড. রিজভী। তথ্যচিত্রে এটাও দেখানো হয়েছে যে আপনাদের সেনাপ্রধান খুব ভালোভাবেই জানতেন যে তাঁর পলাতক দুই ভাই কোথায় আছেন। কিন্তু তিনি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি। এটা তদন্ত করার মতো বিষয় নয়?
গওহর রিজভী: এটা তদন্ত করার মতো হবে। কিন্তু আমি যা জানি, আপনিও তাই জানেন—এই দুই ব্যক্তি বাংলাদেশের আওতার বাইরে ছিলেন। এরপরও তাঁদের তথ্য যদি আমাদের কাছে থাকত, তাহলে ওই দুই দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতাম। আসলে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা তা করেছি। এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে আমরা তা করতাম না। সত্যিই সরকারের কাছে যদি এই তথ্য থাকত, তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিত।
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,