কোন কিছু না বুঝে, উদাস ভাবনায় সখ করে,
কারণ না খুঁজে, তোমায় ডাকতাম তেপান্তিরিনী নাম ধরে,
কেউ যায় নি যেথায়, যা রূপকথার যাদু বিদ্যা পাঠ,
বুঝিয়ে বলেছি তোমায়, কোথায় ! সেই তেপান্তরের মাঠ।
আজ সত্যি তুমি ঠিক, সেই তেপান্তিরিনী হলে
সময় গাড়িতে নির্ভিক, তেপান্তরের মাঠে গেলে চলে
বহু বছর গত হলো
সত্যি করে বলো তো
আজ সত্যি কারের তেপান্তিরিনী
আজও আমায় তুমি কি ভুলো নি !!
ধর প্রিয় তোমার, বরের সাথে হাঁটার সময়
যখন সুখের সমাহার, মন মধুময়
এমনি কোন ক্ষণে,
কোন ভুল মনে-
কোন পার্কের বে্ন্চে একা বসা, আমাকে কি দেখতে পাও !
হঠাৎ বিচ্যুত যেন নক্ষত্র খসা, আমার পানে কি তাকাও !
পানি জাহাজের এক কোণায়, কিম্বা কখনো সপিং এ, ট্রেনে দাঁড়ানো কি আমি !
অজানা কোন উদাসী ভাবনায়, অচমকা আমাকে দেখে যাও কি থামি !
তেপান্তিরিনী
ও আমার সত্যি কারের তেপান্তিরিনী
তোমার মনে আমার জন্য জায়গা রেখেছ কতখানি !
বেদনার গভীরে, স্বর্ণাক্ষরে, মুখ খানি রেখেছ উজ্বল জানি।
ভাবি নি জীবন পাত্র হবে স্মৃতি দিয়ে মাখা
খাঁটি চিত্রকরের তুলিতে সবই চিত্র আঁকা।
আজও দেখি তুমি আনমনা খেয়ালে
হেলান দিয়ে শুয়ে আছ পেয়ারা গাছের ডালে
মেহেদী পাতার ছিড়ার কালে, চকিত আড়ালে
হঠাৎ ফুল তোলা তোমার খেয়ালে, হেঁটে চলা ছোট্ট দেয়ালে,
হাসি মাখা মুখখানি এখনও উড়ে মেঘের পালে
জালনার পাশে দাঁড়ানো আছো স্মৃতির দেয়ালে
দেখি দীঘিতে ফোটা পদ্ম ফুলে
তরীটি যেমন একা নদী কূলে
দেখি সাদা-কালো পায়রার পেখমে
কথনও শ্রাবণের ঘন কালো মেঘে,
শরতের আকাশে, এক খন্ড সাদা মেঘ যেন তোমার আবেগে
প্রিয় ফুলের সু-বাসে, হাসি খানি এখনও তোমার ঠোঁটে আছে লেগে
এখনও কুসুম ছোঁয়া অনুভবে
স্থির, সজীবতায় তুমি আছ নিঃরবে।
সত্যি কারের তেপান্তিরিনী,
আমার তেপান্তিরিনী-
তোমায় আজ কবিতায় লিখি
প্রতি লাইনে, শব্দে তোমাকে সাজাতে চড়া দামে তোমার হৃদয় কিনি
তেপান্তিরিনী, ও গো আমার তেপান্তিরিনী-
অন্তরের সু-দর্শনী
তোমার মন, চোখ কিম্বা তোমার মাথার দোলানো বেণী
আমার দেখায় তোমাকে আর কেউ দেখেনি।
চির-কালের আমার চির ঋণী
সুখে খেকো, ভালো খেকো ও গো আমার তেপান্তিরিনী।।
তারিখ : ফেব্রুয়ারী ২৪. ২০১৫ (স)
রেটিং করুনঃ ,