লেখক:হাসনাইন ইমতিয়াজ।
পানি ছাড়া জীবন চলে না। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খাল-বিল-নদীর দেশে দাম চড়ছে পানির। দফায় দফায় বাড়ছে অন্য তিনটি পণ্যের দামও। ধীরে ধীরে এসব যেন চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম গত ১২ বছরে বেড়েছে দুই থেকে আড়াই গুণ। দুর্বিষহ জীবনে পড়েছেন শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বিনোদন, চিকিৎসা, লেখাপড়া এমনকি খাওয়ার খরচ কমিয়ে তারা চাপ সামলাচ্ছেন। সব দিকে কাটছাঁট করে শুধু প্রাণটুকু বাঁচিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন। নতুন করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা যেন তাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে
চাকরিতে বদলি হওয়ায় সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর থেকে মগবাজারে বাসা নিয়েছেন বজলুর রহমান। নতুন বাসায় লাইনের গ্যাস নেই। তাই এলপিজি ব্যবহার করেন তিনি। মাসে ১২ কেজির দুই সিলিন্ডার গ্যাস লাগে। জানুয়ারি মাসে দুই সিলিন্ডার কিনতে তার খরচ হয়েছে আড়াই হাজার টাকা। যদিও সরকার নির্ধারিত দাম ছিল দুই হাজার ৩৫৬ টাকা (প্রতি সিলিন্ডার ১১৭৮ টাকা)। চলতি মাসেই সিলিন্ডারপ্রতি ৬২ টাকা দাম বাড়িয়েছে সরকার। দোকানে দাম আরও বেশি রাখছে। শুধু রান্নার গ্যাসেই গত মাসের চেয়ে তার ১৫০ টাকা বেশি খরচ হবে।
বজলুর রহমান বলেন, সব জিনিসের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর বেতন বাড়েনি। প্রতি মাসে এখন ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দামও বাড়বে। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলে জীবন চলবে কী করে?
শুধু এলপিজি নয়, গত ১১ বছরে প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে সরকারি গ্যাসের দাম। ২০০৯ সালে দুই চুলার গ্যাসের মাসিক বিল ছিল ৪০০ টাকা। পাঁচ দফায় বেড়ে তা হয়েছে ৯৭৫ টাকা। বৃদ্ধির হার ১৪৩.৭৫ শতাংশ। চলতি মাসে নতুন করে দুই চুলার গ্যাসের বিল ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। ২০০৯ সালে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের খুচরা দাম ছিল চার টাকা ৩৪ পয়সা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ৯৬ পয়সা, বেড়েছে ১২৯ শতাংশ। চলতি মাসে এই দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছে পেট্রোবাংলা।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার আরও এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। গত ১১ বছরে সরকার ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বেড়েছে ৯০ শতাংশ। ২০১০ সালে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় খুচরা মূল্য ছিল তিন টাকা ৭৬ পয়সা। সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চে তা বাড়িয়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়। এখন আরেক দফা দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) একটি যৌথ জরিপে সম্প্রতি জানানো হয়, দেশে করোনাকালে তিন কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ জনজীবনকে স্থবির করে দেবে। শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিকে থামিয়ে দেবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি কৃষি, পরিবহন, দ্রব্যমূল্য, শিল্প উৎপাদন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। থমকে যায় অর্থনীতির অগ্রযাত্রা। এরই মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দেবে। মূল্যবৃদ্ধির নিচে চাপা পড়া জনগণের জন্য তা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দেবে।
ঢাকার দক্ষিণ মুগদার বাসিন্দা রাহেলা বেগম কাজ করেন বাসাবাড়িতে। তিন বাসায় কাজ করে মাসে আট হাজার টাকা আসে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা চলে যায় ঘর ভাড়ায়। বাকি টাকা দুই সন্তানসহ চলতে হয় সারা মাস। তিনি বলেন, কয়েক ঘরের একটি চুলা। ভোরে উঠেই লাইন দিতে হয়। কিন্তু সকাল ৭টার পরই লাইনে গ্যাস থাকে না। তখন কেরোসিনের চুলায় রান্না করতে হয়। কিন্তু মাস শেষে মালিক ঠিকই গ্যাসের জন্য টাকা নিচ্ছেন। এতে মাসের খরচ আরও বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনছি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নাকি আরও বাড়বে। এখন যা কামাই হয় তাতে তরিতরকারিই ঠিকমতো কিনতে পারি না। সব কিছুর দাম বেশি। এরপর গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে না খেয়ে থাকতে হবে।
লোকসান কমাতে দাম বৃদ্ধির কথা বলা হলেও, গ্যাস ও বিদ্যুতের কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই লাভজনক। তারা প্রতি বছর সরকারি কোষাগারে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা দিচ্ছে। উদ্বৃত্ত অর্থ, ট্যাক্স-ভ্যাট ও বিভিন্ন ফি হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাত থেকে আয় করেছে সরকার। গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশও দিয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসও বাড়ছে ফি বছর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং নীতিনির্ধারকদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যয় বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হওয়ায় বসিয়ে বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নজর না দিয়ে গ্যাস আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতেও বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের। খাত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম-অব্যস্থাপনা দূর না করে, বাস্তবাসম্মত পরিকল্পনা না নিয়ে দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ মূলত সরকারের ব্যর্থতার দায় জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার নামান্তর।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজির ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছে। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লোকসান আসলে সংশ্নিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকে।
সংসার চালানোই দায়
জ্বালানি তেলে দুর্ভোগ, বাড়তি বোঝা নিত্যদিন
লেখক: রাজীব আহাম্মদ
পানি ছাড়া জীবন চলে না। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খাল-বিল-নদীর দেশে দাম চড়ছে পানির। দফায় দফায় বাড়ছে অন্য তিনটি পণ্যের দামও। ধীরে ধীরে এসব যেন চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম গত ১২ বছরে বেড়েছে দুই থেকে আড়াই গুণ। দুর্বিষহ জীবনে পড়েছেন শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বিনোদন, চিকিৎসা, লেখাপড়া এমনকি খাওয়ার খরচ কমিয়ে তারা চাপ সামলাচ্ছেন। সব দিকে কাটছাঁট করে শুধু প্রাণটুকু বাঁচিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন। নতুন করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা যেন তাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে
নাহিদুর রহমান নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা। পরিবারের কারণে থাকেন রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে তাকে মাসে ২৫ দিন কাঁচপুর যেতে হয়। আগে দৈনিক আসা-যাওয়ায় বাস ভাড়া লাগত ৮০ টাকা। এখন লাগছে ১২০ টাকা। শুধু বাস ভাড়া বাবদই মাসে তার খরচ বেড়েছে এক হাজার টাকা। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার খরচও। কিন্তু বেতন এখনও ৩০ হাজার টাকাই।
গত বছর নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। এরপর ৮ নভেম্বর থেকে বাড়ে বাসের ভাড়া। তাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আগে থেকেই চাপে থাকা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের আরও বাড়তি খরচের বোঝা চাপে। গত ১২ বছরে ছয়বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ফলে ২০০৯ সালের শেষেও যে ডিজেলের মূল্য ছিল ৪৪ টাকা লিটার, এখন তা হয়েছে ৮০ টাকা। দাম বেড়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচরের বাসিন্দা আবু রায়হানের অফিস খিলক্ষেতে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে তিনি ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। ঝাউচর থেকে আগে ১০ টাকা বাস ভাড়ায় মোহাম্মদপুর গিয়ে, সেখান থেকে আরেক বাসে ২৫ টাকায় খিলক্ষেত যেতেন। ১০ টাকার বাস ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা, আর ২৫ টাকার ভাড়া ৩৫। মাসে এ বাবদই তার খরচ বেড়েছে ৭৫০ টাকা।
নাহিদুর রহমান ও আবু রায়হানের মতো কোটি মানুষ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দু’জনেই বললেন, অন্য খরচ কমিয়ে বাড়তি ভাড়ার জোগান দিচ্ছেন। আগে মাসে একদিন বেড়াতে যেতেন, বাইরে খেতেন। এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান সমকালকে বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি নাগরিকবান্ধব শহরে একজন ব্যক্তির যাতায়াত ব্যয় তার আয়ের ১০ শতাংশের কম হতে হবে। ১০ শতাংশ ব্যয়কে ‘কাট অব পয়েন্ট’ বলা হয়। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় যাতায়াত ব্যয় একজন মানুষের আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ। এতেই বোঝা যায় মানুষ কতটা চাপে রয়েছে।
শুধু শহরের বাসিন্দা নয়, গ্রামের কৃষকও ভুগছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে। সরকারি হিসাবেই বছরে কৃষকের খরচ বেড়েছে ৭৫৪ কোটি টাকা। সেচের খরচ বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তাতে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য।
শুধু বাস নয়, বেড়েছে লেগুনার ভাড়াও। মধ্যবিত্তের যান সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ভাড়া বাড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ দেখিয়ে। রাজধানীর জিগাতলা ও মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেটের লেগুনার ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। করোনা সংক্রমণ রোধে আসন অর্ধেক খালি রাখার শর্তের কারণে বেড়ে হয় ২৫ টাকা। এখন সব আসনে যাত্রী তোলা হলেও ২৫ টাকাই নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে দেখা গেল, সেখান থেকে বনশ্রী যেতে ৩০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন অটোরিকশা চালক। যাত্রী জানালেন, মাস কয়েক আগেও ২০০-২২০ টাকা যেতেন। উবার, পাঠাওর মতো অ্যাপভিত্তিক গাড়িগুলোতে ভাড়া বাড়ায় সিএনজি অটোরিকশাও বাড়তি ভাড়া হাঁকাচ্ছে।
অটোরিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন বললেন, সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় পড়লেই হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আগে পুলিশকে ৫০-১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে পার পাওয়া গেলেও জরিমানা বাড়ায় ৫০০ টাকার কমে ঘুষ নেই! সে কারণেই ভাড়া বাড়তি।
মালিক শ্রমিক নেতারা নাম প্রকাশ করে ঘুষ ও চাঁদা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। তবে সবাই এক সুরে বলেছেন, দিনে হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা যায় ঘুষ চাঁদায়। অটোরিকশাচালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন বললেন, খুব কষ্টে আছেন তারা। মালিক সমিতির সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলুও একই কথা বললেন।
লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ায় বাসের কিলোমিটার ৪৫ পয়সা বেড়ে দুই টাকা ১৫ পয়সা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বাসেই তা না মানার কারণ হিসেবে মালিক-শ্রমিকরা ঘুষ-চাঁদার কথাই বলছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস চালাতে দিনে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ-চাঁদা দিতে হয়। এই খরচ ভাড়ার হিসাবে দেখানো যায় না- তাই যাত্রীর পকেট কেটে তুলতে হয়।
রাজধানীর দিশারী পরিবহনের মালিক মহারাজ হোসেন বললেন, সবাই তো সবই জানে। এর বেশি বলতে রাজি নন তিনি।
সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,