লেখক: হাসনাইন ইমতিয়াজ।
সকাল ১০টা। শিল্পকারখানার জন্য খুব ব্যস্ত সময়। কাজের চাপে এমন সময়ে শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। কিন্তু গতকাল শনিবার গাজীপুর সদরের মেম্বারবাড়ি এলাকার মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল কারখানায় গিয়ে দেখা গেল উল্টো চিত্র। কর্মীরা অলস সময় পার করছেন। কথা বলে জানা গেল, গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় কারখানা চালু হয়নি তখনও। লাইনে গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (প্রেসার পার স্কয়ার ইঞ্চ বা প্রতি বর্গইঞ্চিতে চাপ); কিন্তু আছে তিন/চার পিএসআই।
কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান সমকালকে জানান, তাদের কারখানায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গ্যাসের চাপ না থাকায় বেশির ভাগ সময়ই মেশিন বন্ধ রাখতে হয়। শ্রমিকরা তখন অলস সময় কাটান। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এমন অবস্থা। সক্ষমতা অনুসারে উৎপাদন করতে না পারায় তারা আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন।
গাজীপুরের কোনাবাড়ীর মিতালি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুহিন আবদুল্লাহ জানান, এখন সবচেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ আসছে। দুশ্চিন্তা হচ্ছে গ্যাস নিয়ে। লাইনে গ্যাসের চাপ থাকেই না। সোমবার রাতে ১০ টন কাপড় ডাইং করার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়েছে সাড়ে চার টন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২২ সেপ্টেম্বর গার্মেন্টস ইউনিটের সুইং লাইন বসে যেতে পারে।
গতকাল সাভারে রাজফুলবাড়িয়ার একেএইচ গ্রুপের কারখানাতেও ওয়াশিং প্লান্টের অধিকাংশ শ্রমিককে খোশগল্প করতে দেখা যায়।
সকালে কারখানায় এলেও গ্যাসের চাপ কম থাকায় তারা কাজ শুরু করতে পারেননি। ওয়াশের জন্য আসা পোশাকের স্তূপ পড়ে ছিল।
শুধু গাজীপুর বা সাভার নয়; নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলের শিল্পকারখানায় গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। চাহিদা অনুসারে গ্যাস না পাওয়ায় কারখানাগুলো উৎপাদনে যেতে পারছে না। বিশেষ করে পোশাক, টেক্সটাইল কারখানাগুলোর সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। গত জুনের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
করোনা মহামারির তীব্রতা কমার কারণে বিশ্ববাজার থেকে প্রচুর রপ্তানি আদেশ পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু গ্যাস সংকট তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না। ফলে রপ্তানি আদেশ বাতিলের আশঙ্কা করছেন তারা। উদ্যোক্তারা বলছেন, দ্রুত গ্যাসের সংকটের সমাধান না হলে সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সমকালকে বলেন, কোন কোন কারখানায় গ্যাসের চাপ পাচ্ছে ১ দশমিক ৫ পিএসআই; কোন কোন কারখানায় শূন্য। নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত টেক্সটাইল মিলগুলোতে গ্যাসের চাপ সবচেয়ে কম। কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অলস বসে থাকছে।
তিনি বলেন, বস্ত্রকলগুলো ক্যাপটিভ (নিজস্ব) বিদ্যুতে পরিচালিত হয়। সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কম্পিউটারাইজড মেশিনারিজ ব্যবহার হয়। গ্যাসের অব্যাহত সরবরাহ না থাকায় যন্ত্রপাতির ক্ষতি হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারের ৯০ শতাংশ আর ওভেন পোশাকের ৪০ শতাংশ স্থানীয় টেক্সটাইল মিলগুলো সরবরাহ করছে। এর বাইরে স্থানীয় বস্ত্র খাতের পুরোটাই সরবরাহ করতে সক্ষম দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো। স্থানীয় বস্ত্রের বাজার ৮০০ কোটি ডলার। গ্যাস সংকটে পুরো পোশাক খাত চরম সংকটে মধ্যে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জ্বালানি হলো শিল্পের প্রধান চালিকাশক্তি। গ্যাস না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ভর্তুকি দিয়ে হলেও এলএনজির আমদানি বাড়াতে হবে।
স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী সমকালকে বলেন, পোশাক, সুতাসহ রপ্তানিমুখী অধিকাংশ শিল্পে গ্যাসের স্বল্পচাপজনিত সংকট এখন প্রকট। এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। নতুবা সার্বিক অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি জানান, দিনের অধিকাংশ সময় নির্ধারিত চাপে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
তপন চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সামনে শীতকাল আসছে। গ্যাসের সংকট তখন আরও তীব্র হতে পারে। ফলে কারখানা চালিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এতে পণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকার আমদানি কমিয়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এটা সমস্যার কোনো সমাধান হতে পারে না। প্রয়োজনে গ্যাসের দাম নির্ধারণে প্রাইসিং ফর্মুলা তৈরি করা যেতে পারে। বিশ্ববাজারে যখন এলএনজির দাম বাড়বে, তখন দেশেও গ্যাসের দাম বাড়বে। আবার বিশ্ববাজারে যখন এলএনজির দাম কমবে, তখন দেশেও দাম কমাতে হবে। যেভাবেই হোক, শিল্প খাতে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে তাদের দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ১৯০ কোটি ঘনফুট, বিপরীতে সরবরাহ পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১৭০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার সরবরাহ করা গ্যাসের ৩৪ শতাংশ শিল্প খাতে ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে শিল্প উৎপাদনে ব্যবহূত হয় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ব্যবহূত হয় শিল্পকারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে (ক্যাপটিভ পাওয়ার)।
গ্যাস সংকটের কারণ: গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, জুন মাস থেকে এলএনজি আমদানি কম হচ্ছে। দেশে গ্যাসের উৎপাদনও কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে গ্যাস সরবরাহে। জ্বালানি বিভাগ বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় সরাসরি এলএনজি কেনা বন্ধ রয়েছে, তাই সরবরাহ কমেছে।
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪৩০ কোটি ঘনফুট। গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পেট্রোবাংলা মোট সরবরাহ করে ৩০৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস। ঘাটতি ১২৬ কোটি ঘনফুট। প্রথম দিকে সরকারের নানা কার্যক্রমের কারণে দেশের দৈনিক গ্যাস উৎপাদন বেড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছেছিল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বিশেষ করে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অচলাবস্থার কারণে বর্তমানে তা কমে ২৪০ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে ২৪৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, ২০১৮ সাল থেকে দেশে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। সমুদ্রে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনালের প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতা থাকলেও কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে তা ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বর্তমানে তাও কমে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায় আমদানি করা এলএনজি থেকে।
জ্বালানি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এলএনজি আমদানি কমেছে। স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনা হচ্ছে না। তাই সরবরাহ কমেছে, সংকট বেড়েছে। এর পাশাপাশি চাহিদাও বেড়েছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান আগে যেখানে ১৮ ঘণ্টা চলত, এখন ২২ ঘণ্টা চলছে। কেউ কেউ অনুমোদিত লোডের চেয়ে তিন-চার গুণ গ্যাস ব্যবহার করছে। ফলে সংকট আরও তীব্র হয়েছে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। সামনে এলএনজির ওপর নির্ভরতা আরও বাড়বে। তাই এলএনজি কেনার ক্ষেত্রে একটা বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করতে হবে। কারণ, শিল্প চাহিদার কথা মাথায় রাখলে দাম যতই বাড়ূক, এলএনজি কিনতেই হবে। তাই স্পট মার্কেট আর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মধ্যে সমন্বয় করে কেনাকাটা করতে হবে, যাতে গড়ে দাম প্রতি ইউনিট ৮-১০ ডলার থাকে।
ম তামিম বলেন, স্পট মার্কেটে দাম খুব বেশি ওঠানামা করে। প্রতি ইউনিটের দাম কখনও ৪ ডলারেও নেমে যায়। আবার ২০ ডলারেও ওঠে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আমদানি আপাতত লাভজনক হলেও যখন স্পট মার্কেটে দাম কম থাকবে, তখন তার সুবিধাও নিতে হবে। এ দুই ক্রয় পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি সমুদ্রে অনুসন্ধান কার্যক্রম দ্রুত জোরদার করতে হবে।
কমছে গ্যাসের উৎপাদন: জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ২৩০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসতে পারে। বড় কোনো গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত না হলে ২০২২-২৩ সালে দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে দিনে উৎপাদন ১৮.৪ কোটি ঘনফুট কমতে পারে। ২৩-২৪ সালে দৈনিক উৎপাদন ৪৩.৫ কোটি ঘনফুট কমে যেতে পারে। এ সময় শেভরনের অধিকাংশ গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন বন্ধ হতে পারে। বিকল্প হিসেবে সরকার এলএনজির আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজি থেকে আমদানি করে মেটানো হবে বলে আশা করছে সরকার।
বিশ্বে এলএনজির চাহিদা বেড়েছে, বেড়েছে দাম: বাংলাদেশ দুই পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনে। একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আর অন্যটি সরাসরি খোলা বাজার (স্পট মার্কেট) থেকে।
যখন দাম কম থাকে, তখন খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা লাভজনক। বর্তমানে খোলা বাজারে দাম অনেক বেশি। ফলে আপাতত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে না সরকার। কয়েক মাস ধরে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় বিশ্বে জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে গেছে। বেড়েছে এলএনজির চাহিদাও। বিশেষ করে জাপান, চীনের মতো দেশগুলো বেশি বেশি এলএনজি কিনছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এলএনজির দাম।
পাশাপাশি কার্গোর ব্যবহার বেড়েছে। ফলে চাহিদা অনুসারে জাহাজ মিলছে না। বিশ্নেষকরা বলছেন, যেহেতু বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, তাই আগামীতে এলএনজির দাম আরও বাড়বে।
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশকে দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে এলএনজি। এখন এক্সিলারেট থেকে যে গ্যাস প্রতি ঘনমিটার ১৩ ডলারে কেনা হচ্ছে, তা গত বছর অক্টোবরে ছিল ছয় ডলার। জুনে এক্সিলারেটের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কিনতে ব্যয় হয়েছে ৪৪৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। একই পরিমাণ গ্যাস গত এপ্রিলে সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে কিনতে খরচ হয়েছিল ২৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে পেট্রোবাংলার।
এলপিজির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল) এক ব্যবস্থাপক জানান, এখন বিশ্ববাজারে প্রতি ইউনিট এলএনজি ২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েক মাস আগেও ৮-১০ ডলারে মিলেছে।
বাংলাদেশে এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি ও সামিট গ্রুপের। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করা হয়। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। আরও চারটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কর্তৃপক্ষের আশা: শিল্প খাতের গ্যাস সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সমকালকে বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ায় এলএনজি কম আনা হচ্ছিল। তাই শিল্পে সংকট দেখা দিয়েছে। এখন আবার স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে নতুন কার্গো এলে সংকটের একটা সুরাহা হবে বলে আশা করছি।
জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় জুনের পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফলে দিনে ২০-২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ কমে। যার প্রভাব পড়ে শিল্প খাতে। দেশের রপ্তানি ও শিল্প খাতের কথা ভেবে দাম বেশি পড়লেও আবার এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে কার্গোর সংকট রয়েছে। সরবরাহকারীরা আশ্বাস দিয়েছেন, অক্টোবরের শেষে এক কার্গো দেশে আসতে পারে। এভাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি এলএনজি কার্গো আনা হবে। তখন সংকট কমবে।
সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৯, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,