আজ ( অক্টোবর ১৭ ) বাউল সম্রাট লালন ফকিরের ১২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলার লোকসংস্কৃতির অঙ্গনে এক অত্যজ্জ্বল প্রতিভা মহাত্মা লালন ফকির। লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তাঁর গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তাঁর সঙ্গীতের সুরলহরিতে হিল্লোলিত হয় লোকমানসের হৃদয়-কানন।
যেমন
স্রোতার পছন্দ অনুসারে বিবিসি বাংলার করা সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় লালনের ” খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়” গানটির অবস্থান ১৪তম।
লালনের অসংখ্য গান আমাদের ভাবনার জগৎ করে খুব বেশি করে প্রসারিত করে।যেমন –
” বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।”
অথবা,
” হাতের কাছে হয় না খবর,
কি দেখতে যাও দিল্লির শহর!
সিরাজ সাঁই কয়, লালন রে তোর
সদাই মনের ঘোর গেল না।।”
অথবা,
” চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি
ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায়
ঐ খেদে ঝরে আঁখি
আমার ঐ খেদে ঝরে আঁখি।”
অথবা,
” সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না”
লালন আছে সকলের মাঝে, তার বাণী সবার জন্য প্রযোজ্য। “সবার উপর মানুষ সত্য” এটাই লালনের মূলমন্ত্র।
“সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে
লালন ভাবে জাতের কী রূপ দেখলেম না এই নজরে।”
তারিখ: অক্টোবর ১৭, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,