Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ক্ষীণদৃষ্টির ঝুঁকিতে ঘরবন্দী শিশুরা

Share on Facebook

করোনাকালে ঘরে থাকা শিশুদের ক্ষীণদৃষ্টি অথবা দূরে দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশের শিশু চক্ষুবিশেষজ্ঞেরা। সমস্যাটির নাম মায়োপিয়া।

শিশু চক্ষুবিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাকালে কয়েকটি কারণে শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা বাড়তে পারে—১. স্কুল বন্ধ থাকায় ঘরে থাকা। ২. দিনের আলো চোখে কম পড়া। ৩. অনলাইনে বিরতিহীনভাবে দীর্ঘ সময় ক্লাস করা। ৪. মুঠোফোনের মতো ডিজিটাল ডিভাইসের পর্দায় (স্ক্রিনে) সময় বেশি দেওয়া।

চীনে পরিচালিত এক গবেষণায় করোনাকালে শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা উঠে এসেছে। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মেডিকেল জার্নাল জ্যামা অফথালমোলজিতে গত ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘২০২০-এ ইয়ার অব কোয়ারেন্টিন মায়োপিয়া’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে ছয় থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের মায়োপিয়ার হার আগের চেয়ে ১ দশমিক ৪ থেকে ৩ গুণ বেড়েছে।

চীনের শ্যানডং প্রদেশের ফেইচাং এলাকার ১০টি এলিমেন্টারি (প্রাথমিক) স্কুলের ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৫টি শিশুর ওপর তিয়ানজিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষণাটি হয়। গবেষকেরা মহামারির সময়ের সঙ্গে আগের পাঁচ বছরের তুলনা করে মায়োপিয়া বাড়ার হার তুলে ধরেন। এতে আরও বলা হয়, ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা অনলাইনে বেশি সময় ধরে ক্লাস করলেও তাদের মায়োপিয়া বাড়ার হার কম।

বাংলাদেশে করোনাকালে মায়োপিয়া পরিস্থিতি জানতে একটি গবেষণা শুরু করেছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শিশু বিভাগ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া গবেষণাটির শিরোনাম ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী থাকার কারণে স্কুলের শিশুদের মায়োপিয়া’।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের শিশু চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডিভাইসের ব্যবহার চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। গত এক বছরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া শিশুদের মধ্যে যারা চশমা ব্যবহার করত, তাদের অনেকের চশমার ‘পাওয়ার’ পরিবর্তন হয়েছে বলে দেখা গেছে। তাঁর মতে, অনলাইন ক্লাস চলার সময় ৩০ মিনিট পরপর ১০ মিনিটের জন্য চোখের বিশ্রাম দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা জরুরি।

করোনাকালে শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ার প্রবণতার বিষয়টি জানা যায় হাসপাতালে ঘুরে। অনেক অভিভাবক চোখের সমস্যায় আক্রান্ত সন্তানদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। ৮ মে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে আট বছরের সায়মাকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মা শামীমা আক্তার। সায়মা অনলাইনে ক্লাস করে। তার মা প্রথম আলোকে বলেন, সায়মা মাথাব্যথা ও চোখব্যথায় ভুগছে।

সূত্র: প্র্রথম আলো
তারিখ: মে ২৭, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ