কোন ফাঁকে বা কখন ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ঘর বেঁধেছে তা সাধারণ জনগনের জানা ছিল না, আর জানলেই বা কি করার ছিল যেখানে অবৈধ বেশ ভালো ভাবে বৈধ রূপ পায়। ক্যাসিনো বিরুধী বা নির্মূল অভিযান শুরু সময় থেকে সাধারণ জনগনের দৃষ্টি গোচর হলো যে এ দেশের বহু মানুষ জুয়ার সাথে ক্যাসিনোর সাথে জড়িত এর মধ্যে অনেকে অনেক টাকা আয় করে বিদেশে পাচার করেছে নিরাপদ জীবন যাপনের জন্যে আর অন্যদিকে হতভাগার খাতায় বহু মানুষ নাম লিখিয়ে হয়েছে নিঃশ্ব। সমাজ সংসার থেকে বঞ্চিত। অভিযান শুরুর পর থেকে এই নিঃশ্ব মানুষের একটি দলের জায়গা হয়েছে জেলখানায়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতারাই মূলত এই ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব।
প্রতিটি অভিযান শেষে অপরাধীর বাড়ি বা কর্ম-স্থল থেকে যা বের হতো তার মধ্যে হতভম্ব হওয়ার মত দেশি বিদেশী টাকা, এফ ডি এস, মদের বোতল, অস্ত্র, জমি ফ্লাটের নানা অংক। যার এই সব অবৈধ সম্পদের মালিক তারা এক সময় ছিল ভবঘুরে, নিঃস্ব বা পাতি মান্তান।
অবৈধ উপায়ে আয় অর্জন যে সহজে হজম করা যায় না তারা বুঝলেও এক একজন কেউ প্রিন্স, সম্রাট সেজে অবৈধ সব অর্থ সম্পদের দখলদার। যতই সাজা ভোগ করুন সেখান থেকে কেউ শিক্ষা নিতে চায় না বরং চায় দুই দিনের হলেও একজন দখলদার।
মানুষের এই দখলদার হওয়ার নেশা হঠাৎ করে জন্মে না, বিন্দু বিন্দু করে গড়ে উঠে এই বিন্দু বিন্দু করে গড়ে উঠার গন্তব্যটি ঠিক কোথায় তার অজ্ঞতার কারণে কখনও কখনও সমাজে ধস নামে অবশেষে ধংস্ব সেই সমাজকে গ্রাস করে।
যদি সঠিক সময়ে এই সব অবৈধ দখলদাররা সমাজে বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে থাকে বা বিষ্ফোরণ পরিপূর্ণতা লাভ করে তবেই হয়তো এই সমাজ কিছুটা হলেও শুদ্ধ হতে পারে। তত দিনে খালেদ হোসেন ভূঁইয়া, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, সেলিম প্রধান, জি কে শামীম, শফিকুল আলম ফিরোজ গন প্রথা ভেঙ্গে ঝিমিয়ে পড়ে কোমর ভাঙ্গা হয়ে থাকে আর যেন সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারে , তারা যেন হয়ে উঠে অপরাধীর শ্রেষ্ট উদাহরণ। .
তারিখ: অক্টোবর ০৬, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,