Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

কোটা সংস্কার রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চান আন্দোলনকারীরা (২০২৪)

Share on Facebook

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে গুলিস্তানে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে ফিরে এসে তাঁরা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এক দফা দাবির বিষয়ে তাঁরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চান। রাষ্ট্রপতির কাছেও তাঁরা সেই আবেদন রেখেছেন।

সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী) কোটা রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ ও মৎস্য ভবন হয়ে এগিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মিছিলটি শিক্ষা অধিকার চত্বর ও জিরো পয়েন্টে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। এতে গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷

বেলা আড়াইটার দিকে এই অবস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে তারা বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে আসে৷ পরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১২ জনের একটি দল বঙ্গভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের হাতে স্মারকলিপিটি দিয়ে এসেছি। তিনি (সামরিক সচিব) নিশ্চিত করেছেন যে স্মারকলিপিটি দ্রুতই রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেবেন।’ সারজিস আলম বলেন, ‘স্মারকলিপিতে আমরা সরকারি চাকরিতে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংসদে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে থেকে ছাত্রসমাজের প্রাণের দাবিটি অতিসত্বর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।’

বঙ্গভবন থেকে ফিরে এসে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এখনো কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না। সরকারের কী উদ্দেশ্য, তা আমরা বুঝতে পারছি না। সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এখতিয়ার নির্বাহী বিভাগ ও সরকারেরই। আমরা চাইছি, সংসদের মাধ্যমে আইন করে যথাযথভাবে বিষয়টি বিধিবদ্ধ করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘সবগুলো দরজায় গেলেও আমাদের ফেরানো হচ্ছে, তারপর আবার বলা হচ্ছে যে আমরা বারবার দাবি পরিবর্তন করছি। সরকার প্রথমেই এখানে হস্তক্ষেপ করলে আমাদের এত বক্তব্য দিতে হতো না। আজ আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এসেছি। সরকারের কাছ থেকে যেহেতু আমরা কোনো আশ্বাস পাচ্ছি না, আমরা চাইছি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি হস্তক্ষেপ করে আমাদের এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইন পাস করতে ভূমিকা রাখবেন এবং প্রয়োজনে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করবেন।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্মারকলিপিতে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ২৪ ঘণ্টার একটি সুপারিশ করেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের অধিবেশন ডেকে আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে আইন পাসের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক অথবা অধিবেশন আহ্বান করা হোক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই৷ আমাদের দমন করার পরিকল্পনা হচ্ছে৷ কিন্তু আজ আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি যে আমাদের মিছিল থামানো যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানানোর চেষ্টা করছি যে চাইলে আমরা ১০-২০ হাজার মানুষের জমায়েত করতে পারি। কিন্তু আমরা চাইছি না জনদুর্ভোগের কর্মসূচি করতে আমাদের বাধ্য করা হোক। আমরা দাবির বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চাইছি। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব যে সরকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে কী ধরনের বক্তব্য বা পদক্ষেপ আসছে। এরপর আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব।’

আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় হওয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে৷ এটি আমরা আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি৷ এর মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমাদের কর্মসূচি কঠোরতর হবে।’

নাহিদের বক্তব্যের পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) তাঁতীবাজার হয়ে মিছিল নিয়ে চলে গেছে৷ অন্য অংশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে যায়৷

সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ১৪, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ