কর্মের বৃত্ত-পর্ব- দুই
কর্ম ও পরিশ্রম থেকে নিজকে সরিয়ে রাখার অর্থ নিষ্ক্রিয় একটি বস্তু বিশেষ, আজ নিজেই যেন সেই নিষ্ক্রিয় একটি বস্তুতে পরিণিত হয়েছি। কিসের লাভ-ক্ষতি হিসাব করেছি জানা নেই ! তবে বুঝি কর্ম ক্ষেত্রে নিজের উদাসিনতা। কর্ম ক্ষেত্রে বিছন্ন হয়ে পড়েছি, কর্ম তালিকা থেকে সরে পড়েছি বা ছিটকে পড়েছি, উচ্চ স্বর থেকে দূর্বল সুরে নিজেকে বেঁধেছি আর জীবনের দূর্বলতাটা এখানেই প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বিছন্ন হয়ে পড়েছি পরিবার থেকে সেই সাথে সকল স্তরের বন্ধু মহল থেকে কারণটা নিজের কাছে ষ্পষ্ট। এখন শুধু নিজের অসহায়ত্ব ছাড়া আর কিছু বা কোন আলো দেখি না।
কবে পরিত্রাণ পাবো জানা নেই অথচ পরিত্রাণের কেন্দ্র স্থলটা কর্ম-ক্ষেত্রটাই এই ধারণাবোধ থেকে নিজের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
এখানে দেখি সবার মধ্যে কর্মের প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসা, জীবনের উদ্দিপনা অথচ নিজে একজন দর্শক যে কিনা নিজের পতনের সদর দরজায় অপক্ষায় আছে অথচ নিজেকে নিজেকে সার্থক ভাবে গড়ে তোলার এক দম্য প্রচেষ্ঠা।
পরিশ্রমের জন্য প্রয়োজন শারীরিক অনুকুলতা, শরীরের সামর্থ, পরিশ্রমের জন্য শরীরকে উপযোগী করে তোলা, শরীরে শক্তির যোগান। পরিশ্রম মুখি শরীর কাঠামো।
শারীরিক ভীতিকে এড়িয়ে চলা যতক্ষণ শরীর অনুকূলে। নিজেকে জয়ি করতেই হবে এখন অবিরাম প্ররিশ্রম করে লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে। কিছু একটা ফলাফল আসবে যা নিজের মঙ্গলের পথ দেখাব এইটুকুই আশা বা সারাদিনের স্বপ্ন।
তারিখঃ জুন ১৪, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,