দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এই প্রথম ২০২০ সালে বিশ্ব প্রথম একটি ভয়াবহ দুর্যুগের মুখে যেখানে সারা বিশ্বের প্রায় ১৫০ দেশ করোনা নামের এক ভাইরাসে প্রভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি মহা বিপর্যযের মুখে। ঠিক আগামীকাল কি হবে বিশ্বের প্রক্রমশালী দেশগুলি রীতিমত অসাহায়ের মুখে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে মুল কেন্দ্র বিন্দু এখন ইউরোপ মহাদেশ আর ভয়াবহ দূর্যুগের মুখে ইতালী, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানী তথা যুক্তরাজ্য। বাদ পড়ে নি কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, মধ্য প্রাচ্য বিশেষ করে ইরাণ।
করোনা সংক্রমানক ও মৃত্যুর হিসাব প্রতি মিনিটে তার হার বাড়াচ্ছে শোক ও আতংকের মাত্রা দিয়ে। এই করোনা ভাইরাসের যাত্রা শুরু প্রথম চীন থেকে ২০১৯ এর ডিসেম্বরে মারাত্মক পরিণতি টেনে আনে জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারীতে, মার্চে এসে সেই সংকট কাটিয়ে উঠেছে, পরিসংখ্যানে হিসাব এসেছে মৃত্যুর সংখ্যা ১২০০ এর কিছু বেশি। সাথে সাথে ছড়িয়ে পরেছে আশপাশের এশিয়ার দেশ গুলি জাপান করিয়া ফিলিপাইন সিঙ্গাপুর, মায়লসিয়া্ ভারত আর বাংলাদেশেও।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের উৎস ইতালী ফেরত প্রবাশীর মধ্য থেকে সেই সংখ্যা তিন থেকে এখন প্রায় দশ জন আর অনেক দেশের কাতারে বাংলাদেশও নাম লিখিয়ে নিল একজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
নতুন করোনাভাইরাসে (কোভিড–১৯) বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি। ইউরোপে পর্যটক ঢোকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আতঙ্কে ইউরোপ ও এশিয়ার প্রধান প্রধান শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত আছে। বাজারে প্রচণ্ড অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন করোনাভাইরাসের ব্যাপক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চাইলে জরুরি ভিত্তিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সময়সীমা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে সেখানকার সরকার।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে যুক্তরাজ্যে লাখো মানুষ মারা যেতে পারে—সমীক্ষার নিরিখে এমন এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ওই সমীক্ষায় বলা হয়, ভাইরাসটি সবচেয়ে খারাপ মাত্রায় ছড়ালে ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। এ ছাড়া মারাত্মক অসুস্থ রোগীতে উপচে পড়বে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা। এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারে ২২ লাখ মানুষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি পোষাক শিল্প সেই শিল্প এখন সবচেয়ে হুমকির মুখে এই শিল্পের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মূল অর্থনীতির ধারা মুখ ধুবরে পড়ার কথা, দিনে দিনে রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসায় প্রতিষ্টানগুলি ধীরে ধীরে তার শক্তি হারিয়ে ফেলছে, কমে যাচ্ছে বাজারে টাকার চলাচল। বহু মানুষের আয় রোজগার প্রায় বন্দের পথে।
সবচেয়ে বড় বিপর্যয় মানুষের মুখে আতংকের ছাপ, যেন মৃত্যু এসে ছোবল দিয়ে যাবে ব্যক্তির জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে ঘরে, ঘরে, পাড়ায়, পাড়ায় শহরে শহরে সারা দেশ জুড়ে নেমে আসছে এক মহা আতংক যা প্রায় তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বেশে।
তারিখঃ মার্চ ১৮, ২০২০
আংশিক সূত্র প্রথম আলো।
রেটিং করুনঃ ,